ঢাকা, শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ৩০ ১৪৩১

‘পদক্ষেপ নেয়া সত্ত্বেও নিত্যপণ্যের দাম কমছে না’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৩৩ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ বুধবার

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, পদক্ষেপ নেয়া সত্ত্বেও নিত্যপণ্যের দাম কমছে না। বাজরে নানাভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ বলছে দাম কমছে না অথচ এনবিআর অনেক সুবিধা দিয়েছে। ট্যাক্স কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এরপরেও নিত্যপণ্যের দাম কমে না। মানুষ অধৈর্য হয়ে গেছে, এটাই স্বাভাবিক।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) নগরীর পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘পিকেএসএফ দিবস-২০২৪’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি বাজারে দাম কমানো শুধু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ না। এখানে অনেকগুলো ফ্যাক্ট আছে।

অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা চলে গেলে মানুষ মনে রাখবে। কারণ আমরা ভালো কাজ করছি। মানুষ বলবে স্যার আপনি ওখানে ছিলেন আপনি অমুক কাজ করছেন। অনেকে আমাদের ধন্যবাদ। এর কারণ স্যার আপনি ট্যাক্সের অমুক কাজটি ভালো করেছেন। বন্ডের ট্যাক্স তুলে দেয়াতে মানুষ আমাদের অনেক ভালো বলে। সঞ্চয়পত্রেও আমরা ভালো করেছি। এখন সঞ্চয়পত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিনিউ হচ্ছে। ভালো জিনিস যতো তাড়াতাড়ি করা যায় ততোই মঙ্গল।

আক্ষেপ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দেশে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। তবে আবার প্রতিষ্ঠান নেই। এমন অবস্থা। ভালো প্রতিষ্ঠানের বড় অভাব। বিল্ডিং আছে কিন্তু মানুষ নেই। সেখানে স্বচ্ছতার অভাব, জবাবদিহিতার অভাব। আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে প্রতিদিন কথা বলি। তাকে বলি তুমি এটা দেখো।

ভারতে ইলিশ রফতানি প্রসঙ্গে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমার ছোট ভাই ফোন দিয়ে বলে ভাই ইলিশ মাছ দিয়ে দিলেন, ফেসবুকে আপনাকে গালি দিয়ে ভরে দিচ্ছে। আমার কিন্তু ফেসবুক নাই। একটা সিজনে ৫ লাখ ৩০ হাজার টন ইলিশ উৎপাদন হয় ভারতে দিলাম মাত্র ৩ হাজার টন। অনেকে বলছে, ভারতে ইলিশ দেয়া ভালো সিদ্ধান্ত।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সারাবিশ্বে আমাদের বিষয়ে সবাই ইতিবাচক। আমাদের দিকে কেউ মুখ বাঁকা করছে না। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ এর সভায় গেলাম ৭ থেকে ৮ দিন ছিলাম এতোগুলো সভা করতে গিয়ে আমরা ক্লান্ত সবাই। সভা করতে করতে আমরা হয়রান হয়ে গেছি। সবাই আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চায়। তবে সব থেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিছু শর্ত থাকে তবে শর্ত কঠিন নয়। প্রত্যেকে হাত বাড়িয়েছে।

দেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সার্বিকভাবে বাংলাদেশের সম্ভাবনা আছে। দেশের কৃষক মজুর ও পোশাক শ্রমিকের অবদানের কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা মানুষের সঙ্গে মিলে মানুষের আকাঙ্খার প্রতি ফলন ঘটাবো। 

এসএস//