আজ ‘আনফ্রেন্ড’ করার দিন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৪২ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০২৪ রবিবার
তথ্যপ্রযুক্তি উন্নতির সাথে সাথে মানুষের জীবনযাপনও যান্ত্রিক হয়ে গেছে। এখন মানুষ একটু সময় পেলেই ঘুরে আসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যগুলোতে। এই প্ল্যাটফর্মে পরিচিত বা অপরিচিত সবার সঙ্গে সহজেই বন্ধুত্ব করা যায়। আবার এই তালিকায় যুক্ত থাকে অনেক বিরক্তিকর ও অপছন্দের মানুষ। কাজের ব্যস্ততায়, আলসেমি, চক্ষু লজ্জায় কিংবা অন্য কোনো কারণে তাদের বন্ধু তালিকা থেকে ছাঁটাই করতে পারছেন না। তাহলে আজকের দিনটি আপনার জন্য। কারণ, আজ (১৭ নভেম্বর) ‘আনফ্রেন্ড দিবস’।
আজকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুস্কর। আর ‘আনফ্রেন্ড’ শব্দটির পরিচিতি পেয়েছে এই সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের মাধ্যমেই। তবে ফ্রেন্ড বা বন্ধু শব্দটি অনেক আগে থেকেই খুব পরিচিত।
‘আনফ্রেন্ড দিবস’ বিশ্বের অনেক দেশেই পালন করা হয় বেশ আনন্দের সঙ্গে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ দিবসটি নিয়ে নানান স্ট্যাটাস এবং লেখালেখি চোখে পড়ে।
২০১৪ সালে কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেল ‘আনফ্রেন্ড ডে’ বা ‘বন্ধু ছাঁটাই করার দিন’ প্রতিষ্ঠা করেন। দিনটি প্রচলনের উদ্দেশ্য ছিল: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপরিচিত ও বিরক্তিকর ব্যক্তিকে বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দেয়া। যাদের সারা বছর সহ্য করেছেন বা আজ কাল করে করে বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দিতে পারছেন না, আজ করে দিন।
আনফ্রেন্ড দিবস উদযাপন করতে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলের বন্ধু তালিকা স্ক্রল করুন। দেখবেন অনেকেই আছেন যাদের সঙ্গে কখনো কথা কিংবা যোগাযোগ হয়নি। আর ওই মানুষটির সঙ্গে কোনও কথা হবেও না - এসব অপ্রয়োজনীয় প্রোফাইলকে আপনার প্রোফাইল থেকে ‘আনফ্রেন্ড’ করতে পারেন।
আবার অনেকেই আছেন বন্ধু তালিকায় তবে ওই ব্যক্তির প্রোফাইল দেখে তখন ভালো মনে হলেও দিন দিন তাকে বিরক্ত লাগছে। তার পোস্টগুলোও ভালো লাগছে না। অথবা আপনাকে টেক্সট দিয়ে বিরক্ত করছে, তাদের সবাইকে ‘আনফ্রেন্ড’ করে দিন।
এমবি