ঢাকা, সোমবার   ১৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩১

হাতজোড় করে কিসের ইঙ্গিত পলকের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:২৭ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ সোমবার

আওয়ামী সরকারের সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন তিনি। এরমধ্যে আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনের সঙ্গে সাবেক এই  প্রতিমন্ত্রীকেও  আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে ট্রাইব্যুনাল থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে হাত দিয়ে মোনাজাত ইঙ্গিত করে করে দোয়া চান সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক।

এর আগে, সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রিজন ভ্যানে করে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

আসামীরা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তবে, অন্য একটি মামলায় রিমান্ডে থাকায় আব্দুর রাজ্জাককে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি।

জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় কারাবন্দি সাবেক দুই উপদেষ্টা, সাবেক ১০ মন্ত্রী, এক সেনা কর্মকর্তা ও সাবেক এক সচিব, এক বিচারপতিসহ ২০ জনকে হাজির করতে নির্দেশ দেন। এর মধ্যে ১৪ জনকে ১৮ নভেম্বর হাজির করতে বলা হয়।

এ ছাড়া পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্তকৃত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, আব্দুল্লাহ আল কাফি, আরাফাত হোসেন, আবুল হাসান ও মাজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত জুলাই ও আগস্টে গণহত্যার অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে নতুন প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থা গঠিত হয়েছে। বিচারের জন্য আইন সংশোধন ও ভবন মেরামতের কাজও চলমান।


এমবি