ঘুষ কেলেঙ্কারি, মার্কিন আদালতে অভিযুক্ত গৌতম আদানি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:০০ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১২:০৬ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার
ঘুষ কেলেঙ্কারিতে মার্কিন আদালতে অভিযুক্ত হলেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ভারতীয় ব্যবসায়ী গৌতম আদানিসহ আদানি গ্রুপের ৭ শীর্ষ কর্মকর্তা।
স্থানীয় সময় বুধবার নিউইয়র্কের আদালতে ৬২ বছর বয়সী আদানির বিরুদ্ধে ফৌজদারি আভিযোগ দায়ের করা হয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদানির বিরুদ্ধে ঘুষ ও প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে।
নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, ভারতীয় কর্মকর্তাদের ২৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঘুষ দিয়ে বড় মাপের সৌর প্রকল্পের কাজ হাতিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। একইসঙ্গে মার্কিন বিনিয়োগকারী ও ব্যাংকের সঙ্গেও প্রতারণা করে অন্তত ৩শ’ কোটি ডলার ঋণ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় একজন বিচারক গৌতম আদানিসহ দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। অভিযোগ দায়ের করেছে মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও।
ভারতে সৌর বিদ্যুৎতের এসব বৃহৎ প্রকল্পের নেপথ্যে রয়েছে শীর্ষ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপ। তবে এই প্রকল্প হাতিয়ে নেয়ার জন্য অবৈধ পথের আশ্রয় নেন আদানি গ্রুপের মালিক ও বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের একজন গৌতম আদানি ও তার কোম্পানির ৬ কর্মকর্তা।
নিউইয়র্কের আদালত তাদের ঘুষ কেলেঙ্কারি ও প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত করেছে। প্রসিকিউটর জানান, সৌর বিদ্যু প্রকল্পের কন্ট্রাক্ট পেতে ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতীয় কর্মকর্তাদের ২৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঘুষ দেয় অভিযুক্ত ৭ জন। শুধু তাই নয়, মার্কিন বিনিয়োগ কারী ও ব্যাংকের সঙ্গেও প্রতারণা করে এবং মিথ্যা তথ্য দেয়।
২০ বছর মেয়াদি ওই সৌর শক্তি প্রকল্পের মাধ্যমে অন্তত ২শ’ কোটি ডলার লাভ করার কথা আদানি গ্রুপের।
আদালত জানায়, ওই গ্রুপের আরেক নির্বাহী কর্মকর্দা ভিনেত জেইন জালিয়াতির মাধ্যমে অন্তত ৩শ’ কোটি ডলার ঋণ নেয়। বাকি আসামীরা হলেন- রঞ্জিত গুপ্তা, রূপেশ আগরওয়াল, সিরিল ক্যাবনেস ও গৌতম আদানির ভাতিজা সাগর আদানি।
এরমধ্যে মোবাইল ফোন ট্রাক করে সাগর আদানির ঘুষ লেনদেনের প্রমাণ পায় তদন্তকারীরা।
এ ঘটনায় নিউইয়র্ক আদালতের একজন বিচারক এরইমধ্যে গৌতম আদানি ও সাগর আদানির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। পরোয়ানা বৈদেশিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
বিশ্বের ১৮তম ধনী ব্যক্তি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে এরআগেও অর্থ পাচারসহ নানা অভিযোগ উঠে। গেল বছরের জানুয়ারিতে মার্কিন গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গ্রপের বিরুদ্ধে অফশোর ট্যাক্স হেভেন ব্যবহারের অভিযোগ আনে।
এ ঘটনায় আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও অভিযোগ দায়ের করেছে।
এএইচ