একুশে টেলিভিশনের কালো দিবস আজ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:২৮ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ সোমবার
স্বৈরাচারী সরকারের দোসর আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং ব্যাংক খেকো, লুটেরা, দখলবাজ এস. আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রতিষ্ঠান একুশে টেলিভিশন জোরপূর্বক দখল করে ২০১৫ সালের ২৫শে নভেম্বর।
একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান জনাব আব্দুস সালামকে কারাবন্দী করে এই দখল কাজ করে ফ্যাসিস্ট সরকার এবং তার দোসররা।
২০০২ সালের ২৯ আগস্ট একুশে টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয় তৎকালীন সরকার। তারপর এটির দায়িত্ব নেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও সিইও আব্দুস সালাম। সভা-সমাবেশ ও দীর্ঘ আইনী লড়াই শেষে আব্দুস সালাম উচ্চ আদালতের রায় পান ২০০৫ সালের ১১ এপ্রিল।
একুশে টেলিভিশন পুনরায় সম্প্রচারে ফেরে ২০০৭ সালের ২৯ মার্চে। এসময় শুধু স্যাটেলাইট এবং কেবল টেলিভিশনে একুশে টেলিভিশন পুনরায় সম্প্রচার শুরু করে।
সম্প্রচার শুরুর পর একুশে টেলিভিশন সত্য প্রচারের কারণে আবারও তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। কিন্তু আবারও স্বৈরাচার হাসিনা সরকার ষড়যন্ত্র শুরু করে। ২০১৪ সালে শেখ হাসিনার একতরফা নির্বাচন নিয়ে সত্যনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করতে থাকে একুশে টেলিভিশন। মানুষ ভোট দিতে পারছিল না এটা আব্দুস সালাম মানতে পারছিলেন না।
এতে তৎকালীন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার রোষানলে পড়েন টেলিভিশনটির চেয়ারম্যান ও সিইও আব্দুস সালাম। তারপর শেখ হাসিনা চক্রান্ত করতে থাকেন।
২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি হাসিনা সরকারের গোয়েন্দারা আব্দুস সালামকে একুশে টেলিভিশনের অফিস থেকে আটক করে। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে দীর্ঘ আড়াই বছর কারাগারে রাখা হয়।
২০১৫ সালের ২৫ নভেম্বর ব্যাংক লুটেরা এস আলম শেখ হাসিনার তৎকালীন বিশেষ সহকারী আবদুস সোবহান গোলাপের পরিকল্পনায় একুশে টেলিভিশন দখল করে নেন। তারপর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর ওইদিনই একুশে টেলিভিশন ফিরে পান আব্দুস সালাম।
তাই আজ ২৫শে নভেম্বর দিবসটি একুশে পরিবারের জন্য শোকের দিন।
এএইচ