ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

চাপের মুখে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইসরাইলের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৫ এএম, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:৫২ এএম, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার

অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্সের চাপের মুখে লেবাননের হিজবুল্লাহ গেরিলাদের সঙ্গে যুদ্ধ বিরতিতে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুদ্ধবাজ ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার। 

লেবানন ও ইসরাইলি কর্মকতাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ‘টাইমস অব ইসরাইল’ ‘প্যান আরব আশারাক-আল-আওসাত’ এবং ‘আল জাজিরা’ পত্রিকা এই কথা জানিয়েছেন।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে এই নীতিগত সিদ্ধান্ত নেন।

সোমবারও হিজবুল্লাহ তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা চালিয়েছে ইসরাইলের বিভিন্ন স্থাপনায়। হামলা থেকে রেহাই পায়নি ইসরাইলি বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা ও দক্ষিণাঞ্চলের নৌ ঘাঁটিও। তাছাড়া বেসামরিক নাগরিকদের ঘরবাড়ি ও ভিভিন্ন অবকাঠামো বাদ যায়নি।

এদিকে জেরুজালেম, ওয়াশিংটন ও বৈরুতের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে একাধিক ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আরও আলোচনা করতে হবে। তবে তেল আবিব যুদ্ধবিরতির প্রধান প্রধান বিষয়গুলোতে অনুমোদন দিয়েছে।

সোমবার ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম ‘ইয়েনেট’ বলেছে, ইসরাইলের মনোভাব লেবাননকে জানানো হয়েছে।

গত সপ্তাহে হিজবুল্লাহ প্রধান নাইম কাসেম জানিয়েছেন, ‘যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন প্রস্তাব আমরা পর্যালোচনা করেছি’। স্পিকার নাবিহ বেরির মধ্যস্থতার মাধ্যমে তাদের প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।

নাইম কাসেম আরও বলেছেন,‘বল এখন ইসরাইলের কোর্টে।’

এছাড়া লেবানন সরকার ও দেশটির সশস্ত্র গোষ্টি হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরাইলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিও তারা গ্রহণ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত আমোচ হোচস্টেইন গত সপ্তাহে বৈরুতে জেরুজালেম ও লেবানন সফর করে সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি বলেছেন, সম্ভাব্য চুক্তিটি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার এটাই শেষ সুযোগ।

তিনি আরও বলেছেন, সম্ভাব্য মার্কিন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে যাবে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহ। এটাকে পরীক্ষামূলক চুক্তি হিসেবে দেখা হবে।

এএইচ