ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

চার বছর আগে বন্ধ হওয়া গার্মেন্টস শ্রমিকদের মহাসড়কে বিক্ষোভ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৪৪ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৪:৪৮ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার

চার বছর আগে বন্ধ হওয়া সাভারের ঢাকা ইপিজেডে অবস্থিত কারখানায় পাওনা টাকার দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। লেনী ফ্যাশন এবং লেনী অ্যাপারেলস নামের কারখানার সাড়ে সাত হাজার শ্রমিক নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে এই বিক্ষোভ করছেন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে অবস্থান নেন ওই শ্রমিকরা। শ্রমিকদের অবরোধে সড়কটির উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, চার বছর আগে কোভিড-১৯ এর দোহাই দিয়ে লেনী ফ্যাশন কারখানা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তিন মাসের বকেয়া বেতন, আর্ন লিভ (অর্জিত ছুটি) সার্ভিস বেনিফিটের দাবিতে এই বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা।

শিল্প পুলিশ বলছে, ডিইপিজেডের লেনী ফ্যাশনের শ্রমিকরা বকেয়া পাওনা আদায়ের দাবিতে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। আমরা ব্যবসায়ী কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, চার বছর আগে কারখানা বন্ধ হলেও এখনো শ্রমিকদের বকেয়া পাওনাদি পরিশোধ করা হয়নি। বারবার তারিখ দিয়েও কথা রাখছে না বেপজা কর্তৃপক্ষ। পাওনা পরিশোধ না করা হলে সড়ক থেকে শ্রমিকরা সরবেন না।

মো. ইসলাম নামে লেনী অ্যাপারেলস লিমিটেডের এক কর্মী বলেন, কারখানা বন্ধ হওয়ার সময় এক মাসের বেতনসহ অন্যান্য পাওনা ও সার্ভিস বেনিফিট মিলিয়ে ৪৪ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে আমার। এক টাকাও এখনো পাইনি। আগামী ৩০ তারিখে শ্রমিকদের টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিলেও, শ্রমিকরা ধারণা করছেন এই তারিখেও তাদের টাকা দেওয়া হবে না। যার কারণে সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করেছেন শ্রমিকরা।

জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালে সংকটের মুখে বন্ধ হয়ে যায় ডিইপিজেডএর কারখানা লেনী ফ্যাশন ও লেনী অ্যাপারেলস। বন্ধ হয়ে গেলেও কারখানাটির শ্রমিকদের সার্ভিস বেনিফিটসহ বিভিন্ন পাওনা এখনো বকেয়া রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে ডিইপিজেড নির্বাহী পরিচালক আবদুস সোবহানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ব্যস্ততার কথা বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এদিকে, পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত আছেন।

এসএস//