বিএনপিকে ধন্যবাদ জানালেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:১০ পিএম, ১ ডিসেম্বর ২০২৪ রবিবার
ভারতের বিরুদ্ধে ‘বোল্ড অ্যান্ড লাউড স্ট্যান্ডের’ জন্য বিএনপিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
রোববার (১ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর একটি বিবৃতি শেয়ার করে এ ধন্যবাদ জানান তিনি।
পোস্টে হাসনাত বলেন, ‘এমন বোল্ড এন্ড লাউড স্ট্যান্ডের জন্য বিএনপিকে ধন্যবাদ।’
বিএনপিকে হাসনাত ধন্যবাদ দেয়ার কারণ মূলত বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের অপতৎপরতার বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো। আজ দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের নানা পদক্ষেপের সমালোচনা ও প্রতিবাদ জানায়।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারকে সরিয়ে দেশের মানুষ স্বস্তিতে আছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই যখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে তখন দেড় দশকের সন্ত্রাসী মাফিয়ালীগের রক্তাক্ত তান্ডবে সুষুপ্তিতে থাকা ভারত সরকার সর্বস্ব হারানোর বেদনাবিদ্ধ অস্থিরতা আর অস্বস্তি বিস্ময়কর রকমের প্রকট হয়ে উঠেছে। শেখ হাসিনার পতন হজম করতে পারছে না ভারত সরকার। শেখ হাসিনার পতনে তাদের অন্তরে ভয়ংকর অনল দহন। এর কারণ অতিমাত্রায় দাদাগিরি করার ফলে ভারতের সঙ্গে তার প্রত্যেক প্রতিবেশীর সম্পর্ক তলানিতে। শুধু হাসিনার ঘাড়ে সওয়ার হয়ে একচ্ছত্র কর্তৃত্ব স্থাপন করেছিল বাংলাদেশের ওপর। ভারত বাংলাদেশকে আশ্রিত রাজ্যের মতো বিবেচনা করতো। সেই আশ্রিত রাজ্য হাত ফসকে গেছে।
রিজভী বলেন, বিগত ১৫ বছর হাসিনাকে সামনে রেখে ভারত বাংলাদেশকে কার্যত: দখল করে নেয়ার চেষ্টা করেছিল। এখন বাংলাদেশকে আবার কীভাবে তাদের করতলে নেয়া যায়, সেই লক্ষ্যেই তারা নীলনকশা করছে। ভারতের সরকার মনে করে, বাংলাদেশকে অষ্টম সিস্টার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা গেলে তাদের সেভেন সিস্টার্স নিরাপদ থাকবে।
ব্রিফিংয়ে রিজভী বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন ও পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়ার পর থেকেই মোদি ও তার গদি মিডিয়া বহুমাত্রিক ষড়যন্ত্র এবং-অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। তারা চরম হতাশা-আহাজারিতে নিমজ্জিত। তাদের আচরণ অপ্রতিবেশীসুলভ, অস্বাভাবিক এবং একদেশদর্শী। একজন স্বৈরাচারের পতন নিয়ে কোনো দেশের এমন আহাজারি বিশ্বে বিরল। ভারতের কতিপয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বানোয়াট গল্প প্রচার ও প্রোপাগান্ডা চালিয়ে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়ে চলেছে। ভারতীয় সাম্প্রদায়িক শাসকগোষ্ঠী ও হাসিনার যৌথ ইন্ধনে ভারতীয় কিছু উগ্র হিন্দত্ববাদী গণমাধ্যম এমন অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে।
এমবি