ঢাকা, শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৭ ১৪৩১

শ্রীলঙ্কার কাছে আক্ষেপে হার টাইগার যুবাদের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২৮ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার গ্রুপসেরার লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছিল আজিজুল হাকিম তামিমের দল। তবে, রান তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই জয়ের পথে ছিল বাংলাদেশ। ৪৬তম ওভার শেষেও পাল্লা ভারী ছিল লাল সবুজদের। কিন্তু শেষদিকে খেই হারিয়ে ৭ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয় তামিমদের।

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২২১ রানে থামে বাংলাদেশ। ওপেনার কালাম সিদ্দীকির ৯৫ রানের ইনিংসটি বদলাতে পারেনি ম্যাচের ফল। লঙ্কানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন বিহাস থিউমিকা।

টানা দুই ম্যাচ জিতে আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল যুবারা। শেষ চার নিশ্চিত হয়েছিল লঙ্কানদেরও। খালি চোখে ম্যাচটি নিয়মরক্ষার হলেও, লড়াইটা ছিল ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়নের খেতাব পাওয়ার।
 
সে দৌড়ে শুরু থেকেই ছিল যুব টাইগাররা। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রান তাড়ায় নেমে ওপেনিং দারুণ শুরু এনে দেন জাওয়াদ আবরার ও কালাম সিদ্দীকি। দুজনের ৫২ রানের জুটি ভাঙে হতাশাজনক রান আউটে। ২২ বলে সমান ২ ছক্কা ও ২ চারের মারে ২৪ রান করে রান আউট হন জাওয়াদ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইকেটে অবশ্য জুটি বড় করার সুযোগ পায়নি লাল সবুজরা। অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম ১৮ বলে ৮ রান করে এলবিডব্লিউ হওয়ার পর মোহাম্মদ শিহার জেমস ১৫ বলে ৬ রান করে রান আউট হন।
 
দেবাশিষ দেবাকে নিয়ে হাল ধরেন কালাম। দুজনের ৭৪ রানের জুটিতে জয়ের পথে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। তবে দলীয় ১৭২ রানে কালাম আউট হওয়ার পরই চাপে পড়ে লাল সবুজরা। ১৩৪ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৯৫ রান করেন কালাম। তার বিদায়ের পর দ্রুত আউট হন রিজান হোসেন ও দেবা। রিজান ০ আর দেবার ইনিংস থামে ৩১ রানে। এরপরও অবশ্য ফরিদ হাসান ও সামিউন বশির দলকে জয়ের পথে রেখেছিলেন। শেষ ৪ ওভারে দরকার ছিল ২৪ রান, হাতে ছিল ৪ উইকেট।
 
কিন্তু এমন সময় ৪৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন সামিউন। ১৩ বলে ১৪ রানে থামেন তিনি। ওভারের শেষ বলে রান আউট হন মোহাম্মদ রাফিউজ্জামান রাফি (২)। আর ৪৮তম ওভারের শুরুতেই উইকেট বিলিয়ে দেন আল ফাহাদ (০)। তাতে ম্যাচ থেকে একপ্রকার ছিটকে যায় বাংলাদেশ। শেষ ওভারের তৃতীয় বলে ইকবাল হোসেন ইমন (৪) রান আউট হলে ৭ রানের আক্ষেপে পোড়ে লাল সবুজরা। ২৯ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থেকে আরেকপ্রান্তে অপরাজিত থেকে আক্ষেপে পুড়েন ফরিদও।
 
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান তুলতে সক্ষম হয় শ্রীলঙ্কা। আল ফাহাদ ও রিজান হোসেনের বোলিং তোপে বিমথ দিনসারা ছাড়া কেউই লঙ্কানদের হয়ে দ্যুতি ছড়াতে পারেননি। দিনসারা ১৩২ বল মোকাবিলায় ১০ চারের মারে ১০৬ রান করে আউট হন। ফাহাদ ৪ আর রিজান ৩ উইকেট শিকার করেন।
  
এদিকে ‘এ’ গ্রুপ থেকে ইতোমধ্যে পাকিস্তান সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে। ওই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়েও এগিয়ে তারা। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৬ ডিসেম্বর সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাকিস্তানকেই পাচ্ছে বাংলাদেশ।

এমবি