ভর্তিতে ডোপটেস্ট বাধ্যতামূলক করল পবিপ্রবি
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১২:২৫ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ বুধবার
কৃষি গুছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতক পর্যায়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ভর্তির ক্ষেত্রে এবছর প্রথমবারের মতো ডোপ টেস্ট চালু করেছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি)।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে দ্বিতীয় দিনের মতো ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়।
এ কার্যক্রমে বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্টের (মাদকগ্রহণ নির্ণয়কারী পরীক্ষা) মাধ্যমে ভর্তি নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহায়তায় শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুব্রত প্রসাদ সিকদার বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগে যাদের রক্তের গ্রুপ জানা নেই, তাদের রক্তের গ্রুপও পরীক্ষা করা হচ্ছে। এছাড়া ডোপ টেস্ট করে তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কারও ফলাফল পজিটিভ পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম হেমায়েত জাহান বলেন, সাতটি স্তরে শিক্ষার্থীদের ভর্তি সম্পন্ন হচ্ছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীর রক্ত পরীক্ষা, ডোপ টেস্ট, স্বাক্ষর যাচাই, তথ্য যাচাই ও রেজিস্ট্রেশন প্রদান, ভর্তি ফি গ্রহণ, চূড়ান্ত রেজিস্ট্রেশন যাচাই, হল সংযুক্তি প্রদান ও হলের আসন বণ্টনের আবেদন নেওয়া হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডোপ টেস্টের চারটি ক্যাটাগরি রয়েছে। এর মধ্যে বেনজুডাইয়াজিপাইন অন্তর্ভুক্ত স্লিপিং পিল, মারিজুয়ানা (গাঁজা), ইয়াবা ও আফিম। স্লিপিং পিলের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী গ্রহণ করা হলে তা গ্রাহ্য করা হচ্ছে। তবে তা মাত্রাতিরিক্ত হলে শিক্ষার্থীর তথ্যগুলো আমরা কাউন্সিল টিম ও সংশ্লিষ্ট বিভাগে পৌঁছে দেব। পরে ওই শিক্ষার্থীকে কাউন্সেলিংয়ে রাখবে তারা অথবা পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, কৃষি গুচ্ছ পদ্ধতিতে চূড়ান্ত ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ৯ থেকে ১২ ডিসেম্বর প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে নিজ নিজ অনুষদে চূড়ান্ত ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।
ভর্তির আগে শিক্ষার্থীদের মাদকাসক্তি পরীক্ষার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন অভিভাবকেরা। সন্তানকে ভর্তি করতে কুষ্টিয়া থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আসেন সরকারি চাকরিজীবী জোবায়ের খান। তিনি বলেন, আজকের পরিবেশটি খুবই চমৎকার। সমস্যা নেই। বিশেষ করে ভর্তি পদ্ধতিটি ভালো। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশেও সুন্দর। অভিভাবকদের জন্য বসার জায়গা করা হয়েছে।
এ দিকে সদ্য ভর্তি হওয়া কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী সাব্বির বলেন, ‘ভর্তি সম্পন্ন করতে ভোগান্তি নেই, খুবই ভালো লাগল।’
এএইচ