তিল ধারণের ঠাঁই নেই কক্সবাজার হোটেল-মোটেলগুলোতে
আবদুল আজিজ, কক্সবাজার থেকে
প্রকাশিত : ১০:৫২ এএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:৫৫ এএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার সরগরম। সৈকত জুড়ে পর্যটক আর পর্যটক। যেন কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
মহান বিজয় দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ টানা চার দিনের সুযোগে দেশের নানা প্রান্তের ভ্রমণকারীরা এখন কক্সবাজারে।
পর্যটকে ভরে গেছে সৈকত শহর। সাগর পাড়ের হোটেল মোটেলে যেন ঠাঁই নেই। পর্যটকদের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে প্রশাসন।
দেশের বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ, সাথে যোগ হয়েছে থার্টিফার্স্ট নাইট। কদিন পরেই বিদায়ের সুর বেজে উঠবে ২০২৪ সালের। সেই সাথে বিরাজ করছে শীতের মায়াময় আমেজ! এমন সুন্দর মুহূর্তে মনকে আনন্দে আন্দোলিত করতে পর্যটকদের লাইন পড়েছে কক্সবাজারে।
পর্যটকরা বলছে, পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়ানোর এখন মোক্ষম সময়।
নানা বয়সী পর্যটকেরা বিচবাইক, ওয়াটার বাইক ও ঘোড়ায় চড়ে সমুদ্র দর্শন করছেন। কেউ আবার টায়ার টিউবে গা ভাসানো ও নোনা জলে গোসলে নেমেছেন। প্রিয়জনেরা এসব দৃশ্য মোবাইল ও ক্যামেরায় ধারণ করছেন।
এদিকে পর্যটক বাড়ায় জমজমাট ব্যবসা হওয়ায় কিটকট চেয়ার, বীচ বাইক, ওয়াটার বাইক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা খুশি।
পাঁচ শতাধিক হোটেল মোটেলের কোনো রুম খালি নেই বলে জানা গেছে। রুম না পেয়ে অনেক পর্যটককে ব্যাগ-লাগেজ নিয়ে যত্রতত্র ঘুরতেও দেখা গেছে। আশানুরূপ পর্যটক আসায় এবারের ছুটিতে শত কোটি টাকার বেশি ব্যবসার আশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
তারা বলছেন, গত শুক্রবার থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত হোটেল মোটেল গেস্টহাউস রিসোর্ট কোথাও কোনো রুম খালি নেই। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় যাতে না হয় ও পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে বলে জানান হোটেল ব্যবসায়ী নেতা।
কয়েক লাখ পর্যটকের নিরাপত্তা, সমুদ্রে নিরাপদে গোসলসহ চুরি-ছিনতাই ঠেকাতে মাঠে ট্যুরিস্ট পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। দীর্ঘ ছুটিতেই পর্যটকের চাপ একটু বেশি থাকে। এসব বিবেচনায় নিয়ে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশ সজাগ রয়েছে বলে জানান ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম।
নির্বিঘ্নে দেশ-বিদেশের পর্য়টকরা স্বাচ্ছন্দে কক্সবাজার ভ্রমণ করতে পারবেন বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
এএইচ