শাবনূরের জন্মদিন আজ, পরবাসে কেমন আছেন ‘স্বপ্নের নায়িকা’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৫৫ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার
ঢাকাই সিনেমার সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই তারকা শাবনূর ও পূর্ণিমা। বর্ণাঢ্য অভিনয় জীবনে দুজনেই অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন, কুড়িয়েছেন অগণিত ভক্ত অনুরাগীর ভালোবাসা। আজ ১৭ই ডিসেম্বর শাবনূরের জন্মদিন। জীবনের ৪৫ বছর পেরিয়ে আজ ৪৬–এ পা দিলেন নব্বই দশকের তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর।
বছরের পর বছর জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা এই নায়িকার বিশেষ দিনটি ঘিরেও ভক্ত–শুভাকাঙ্ক্ষীর থাকে উৎসাহ ও উন্মাদনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্লভ সব স্থিরচিত্র ও ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করেন। লেখা হয় নানান কথা। এসবে শাবনূর অনুপ্রাণিত হন। ভালোবাসা নতুন করে উপলব্ধি করেন।
ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েনে নিমিষেই বদলে গেছে শাবনূরের ক্যারিয়ার। কিন্তু অভিনয় দক্ষতায় ইতিহাস গড়া শাবনূরকে এখনও ‘আইডল’ মানেন বর্তমান সময়ের অনেক নায়িকাই। ৪৬তম জন্মদিনেও প্রিয় নায়িকাকে স্মরণ করছেন শাবনূরভক্তরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তায় ভরিয়ে দিচ্ছেন তারা।
এ দিন জন্মদিন উপলক্ষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিজের কাজ, ব্যক্তিগত জীবনসহ নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন শাবনূর। সংসার জীবন নিয়ে চিত্রনায়িকা বলেন, আমার আর সংসারী হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়া যে কোনো নারীর জন্য ভয়ংকর অভিজ্ঞতা, যে কারণেই বাধ্য হয়ে স্বামীকে ডিভোর্স দিতে হয়েছে। একমাত্র পুত্র আইজানের জন্যই ভবিষ্যতে আর বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
আক্ষেপ করে শাবনূর বলেন, ক্যারিয়ারে লম্বা এই সময়ে যত ঝড়ঝাপটা আমার ওপর এসেছে পৃথিবীর অন্য কোনো শিল্পীকে বোধহয় এতটা করতে হয়নি। প্রথম সিনেমা ‘চাঁদনী রাতে’র প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, সালমান শাহ, রিয়াজ, ফেরদৌস, এক বিদেশি নাগরিককে আমার সঙ্গে জড়িয়ে মিথ্যে সম্পর্কের গুঞ্জন, সালমানের হত্যা বা আত্মহত্যার জন্য অভিযুক্ত হওয়া, একাধিকবার এফডিসির বিভিন্ন সমিতি কর্তৃক ব্যান হওয়া, কী ফেস করতে হয়নি আমাকে! একইসঙ্গে পারিবারিক নানা টানাপোড়েনে অতিষ্ঠ ছিল আমার জীবন।
কাজে ফেরা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, গেল বছর ‘রঙ্গনা’ নামে একটি সিনেমায় অভিনয়ের কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু নানা কারণে চলচ্চিত্রটির কাজ এখনও শেষ হয়নি। শিগগিরই কাজে ফেরার ইচ্ছা আছে।
ডিভোর্সের বিষয়ে তিনি বলেন, অন্য যে কেউ হলে বোধ হয় পাগল হয়ে যেত, সমস্যা ভুলে থাকার জন্য মাদকের আশ্রয় নিত বা আত্মহত্যা করত। আমি কিন্তু সব নেগেটিভকে মনের জোরে পাশ কাটিয়ে জীবনটাকে পজিটিভবলি গড়ে তুলতে পেরেছি।
বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয়দক্ষতা শাবনূরকে দর্শকমনে জায়গা যেমন দিয়েছে, তেমনি নায়িকাদের কাছেও আদর্শ করে তুলেছে। এ প্রজন্মের নায়িকাদের কেউ কেউ তাই চলচ্চিত্রে তাঁদের অনুপ্রেরণা হিসেবে শাবনূরের নামটিই বলে থাকেন। ১৯৭৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর শাবনূরের জন্ম যশোরের শার্শা উপজেলায়, তাঁর বাবার নাম শাহজাহান চৌধুরী। তিন ভাই-বোনের মধ্যে শাবনূর বড়। শাবনূরের ছোট বোনের নাম ঝুমুর, ভাই তমাল। পারিবারিকভাবে শাবনূরের নাম রাখা হয় কাজী শারমিন নাহিদ নূপুর। পরে কাজী শারমিন নাহিদ নূপুর নামটি পাল্টে চলচ্চিত্র পরিচালক এহতেশাম রাখেন শাবনূর। ১৯৯৩ সালে এই পরিচালকের ‘চাঁদনী রাতে’ ছবির মাধ্যমে ঢালিউডে পথচলা শুরু হয় তাঁর।
এমবি