ঢাকা, বুধবার   ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৪ ১৪৩১

সুজানার পর একই লেক থেকে বন্ধু কাব্যের মরদেহ উদ্ধার

নারায়গঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৪:০৩ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ বুধবার

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচলের লেক থেকে ১৫ ঘণ্টার ব্যবধানে সুজানা ও কাব্য নামের দুই শিক্ষার্থী মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা দুজনই পূর্বাচলে বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হন। পুলিশের ধারণা, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হয় তাদের। 

তবে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রকৃত কারণ উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্বজনেরা। 

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোডের বউরারটেক এলাকায় পূর্বাচল উপ-শহরের ২নং সেক্টরের ৪নং সেতুর নিচের লেক থেকে কাব্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচলের কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোড সড়কের বউরারটেক এলাকায় ২ নম্বর সেক্টরে লেকের পানি থেকে সুজানা নামের এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় মরদেহের পাশ থেকে একটি মোটরসাইকেলের হেলমেট ও একটি ছোট ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। 

এর ১৫ ঘণ্টা পর তার সাথে থাকা শাইনুর রশিদ কাব্য নামের আরেক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে ফায়ারসার্ভিসের ডুবুরি দল। এ দিন ওই লেক থেকে কাব্য ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে লেকের পানি থেকে রূপগঞ্জের পূর্বাচলে কলেজছাত্রী সুজানার মরদেহ ভাসতে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। উদ্ধার হওয়া মরদেহের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয় যায়। উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়। 

এদিকে লাশ উদ্ধারের সংবাদ পেয়ে মিরপুর থেকে সুজানার পরিবারের লোকজন এসে লাশ শনাক্ত করেন। 

পুলিশ জানায়, স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পারি সুজানার সাথে কাব্য নামে আরেক কিশোর নিখোঁজ রয়েছে। বুধবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সহায়তায় পুলিশ লেকের পানির নিচ থেকে মোটরসাইকেলসহ শাহিন রশিদ কাব্যের লাশ উদ্ধার করে। 

মঙ্গলবার তারা দু’জন মোটরসাইকেলে রাজধানী থেকে পূবার্চলে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ হয় বলে জানায় পরিবারের সদস্যরা। তাদের ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রকৃত কারণ উদঘাটনের দাবি জানিয়ে স্বজনেরা।

নিহত শাহিনুর রশিদ কাব্য কাফরুল থানার কচুক্ষেত বউবাজার এলাকার হারুনুর রশিদের ছেলে। সে রাজধানীর আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন। আর সুজানা রাজধানীর ভাষানটেক সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়তেন। সে কচুক্ষেত এলাকার মৃত আব্বাস মিয়ার মেয়ে। 

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর এটি দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড জানা যাবে বলে জানান পুলিশ সুপার  প্রত্যুষ কুমার মজুমদার। তিনি বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

কলেজছাত্রী সুজানা ও তার বন্ধু কাব্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তাদের মৃত্যু ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে তাদের স্কুল ও কলেজের সহপাঠিদের মধ্যে।

এএইচ