ঢাকা, শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৭ ১৪৩১

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে সংসদকে যা জানালেন ভারতীয় মন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৩৩ এএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ শনিবার

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে ভারতের লোকসভায়। এক প্রশ্নের জবাবে চলতি বছরে বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর হিংসার ২,২০০টি ঘটনা হয়েছে বলে জানান দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। 

শুক্রবার লোকসভায় এমনটাই জানিয়েছেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিংহ। 

তিনি আরও জানান, চলতি বছরে পাকিস্তানে হিন্দুদের উপর হিংসার ঘটনা হয়েছে ১১২টি। লোকসভায় এই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় পরিসংখ্যান দিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, হিন্দুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য দুই দেশের সরকারকেই চিঠি দিয়েছে নয়াদিল্লি।

শুক্রবার লোকসভায় একটি প্রশ্নের লিখিত জবাব দেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী। সেখানেই প্রতিবেশী দুই দেশে হিন্দুদের উপর হিংসার ঘটনার তথ্য তুলে ধরেন তিনি। 

তিনি এও জানিয়েছেন, সংখ্যালঘু এবং মানবাধিকার সংগঠনের থেকে পাওয়া পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এই তথ্য মিলেছে। 

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘এই ধরনের ঘটনাগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। ভারতের আশা, বাংলাদেশ সরকার সে দেশে হিন্দু এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সব রকমের পদক্ষেপ নিবে।’’ 

একইভাবে পাকিস্তানের সরকারের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে বলে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘কূটনৈতিক মাধ্যমে হিন্দুদের উপর হিংসার বিষয়টি পাকিস্তান সরকারের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। সে দেশে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, হিংসা, সংখ্যালঘুদের উপর হামলা বন্ধ করা এবং তাদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার জন্য পাকিস্তান সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের সঙ্কট উপযুক্ত আন্তর্জাতিক মঞ্চেও তুলে ধরা হবে।’’

সংসদে পেশ করা দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলেছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর ৪৭টি অত্যাচারের ঘটনা নথিবদ্ধ হয়েছিল। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যাটা ছিল ৩০২। ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২,২০০। এও জানিয়েছে, বাংলাদেশ বা পাকিস্তান ছাড়া ভারতের অন্য কোনও প্রতিবেশী দেশে হিন্দু বা সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা ঘটেনি। 

গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। তারপর থেকেই দু’দেশের মধ্যে পরিস্থিতি অস্থির হয়ে ওঠে।

এএইচ