ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ১২ ১৪৩১

চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ৭ জনকে খুন করে লস্কর ইরফান

কুমিল্লা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০১:৫৩ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ বুধবার

বেতন-ভাতা ও ছুটি নিয়ে ক্ষোভের জেরে এমভি বাখেরা জাহাজে ৭ জনকে খুন করে ওই জাহাজের লস্কর আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফান। গ্রেপ্তার হওয়ার পর র‌্যাবের কাছে এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তিনি।

বুধবার বেলা ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-১১র উপ অধিনায়ক মেজর সাকিব হোসেন।

এর আগে চাঁদপুরের জাহাজে সাতজন খুনের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় অভিযুক্ত আকাশ মন্ডলকে মঙ্গলবার রাতে বাগেরহাটের চিতলমারি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। 

অভিযানে আকাশ মন্ডলের ব্যবহৃত মোবাইল, ঘুমের ওষুধ, নিহতদের ব্যবহৃত মোবাইল, ব্যাগ, রক্তমাখা জিন্সের প্যান্ট ও গ্লাভস জব্দ করেছে র‌্যাব।

মেজর সাকিব হোসেন জানান, আকাশ মণ্ডল গত আট মাস যাবত এমবি বাখেরা জাহাজে চাকরিরত ছিলেন। জাহাজের মাস্টার কর্মচারীদের উপর বিনাকারণে রাগারাগি ও বিল ভাউচার একাকী ভোগ করার কারণে আকাশ মন্ডলের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। 

এরই রেশ ধরে ২২ ডিসেম্বর রোববার রাতে খাবারের সাথে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে সবাইকে অজ্ঞান করে আকাশ। এরপরই জাহাজের মাস্টার কিবরিয়াকে তার নিজের রুমে জাহাজের নিরাপত্তার কাজে ব্যবহৃত কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। 

পরবর্তীতে ধরা পড়ে যাবার ভয়ে একে একে অন্যদেরকেও একই কুড়াল দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। পরে ওই রাতে একটি নৌকায় করে আত্মগোপনে চলে যায় আকাশ মণ্ডল। 

পরে ২৩ তারিখ সোমবার চাঁদপুরের হাইমচর থেকে আল বাখেরা জাহাজে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে শৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে হাসপাতালে নেয়া হলে তারাও মৃত্যুবরণ করেন। 

একমাত্র জীবিত জাহাজের অপর কর্মচারী জুয়েলের দেয়া তথ্য অনুযায়ী নিবিড় তদন্তে র‌্যাব মঙ্গলবার রাতে বাগেরহাটের চিতলমারি থেকে থেকে আকাশ মন্ডল ওরফে ইরফানকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।  এরপরই তাকে নিয়ে আসা হয় র‍্যাব কুমিল্লা সিপিসি২র কার্যালয়ে। 

এখানে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইরফান ওই সাতজনকে খুনের কথা র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেন।  তবে ঘটনার সাথে অন্য কোন কারণ কিংবা কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেজর সাকিব হোসেন। 

গ্রেফতারকৃত আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফান (২৬) বাগেরহাটের ফকিরহাট এলাকার জগদীশ মণ্ডলের পুত্র।

এর আগে সাতজন খুনের ঘটনায় চাঁদপুরে মামলা দায়ের করেন জাহাজের মালিক মাহবুব মোর্শেদ।

এএইচ