হাসিনা ইস্যু, ডাঙ্গায় বাঘ জলে কুমির ভারতের
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৩০ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০১:৩৯ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার
৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে নিয়ে উভয়সংকটে পড়েছে দিল্লি। জানা গেছে, শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেয়ার প্রসঙ্গে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যম দ্য স্টেটসম্যান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে নিয়ে এখন উভয়সংকটে আছে ভারত। কারণ, ভারত যদি হাসিনাকে প্রত্যার্পণ করে, তাহলে সমালোচকরা বলবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছে নয়াদিল্লি। আর অন্যদিকে শেখ হাসিনার প্রতি যারা অনুগত তাদের পর করে দিয়েছে এমন একটি চিত্রও তৈরি হবে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত শেখ হাসিনাকে যদি ভারত ফেরত না দেয়, তাহলে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হবে। যার প্রভাব পড়তে পারে বাণিজ্য, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর। এছাড়া ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অঙ্গনেও এটির প্রভাব পড়বে। বিরোধী দলগুলো সরকারের রাজনৈতিক প্রাধান্য এবং স্পর্শকাতর বৈদেশিক নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। এছাড়া আঞ্চলিক পরাশক্তি ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতি ভারতের যে প্রতিশ্রতি আছে সেটিও প্রশ্নবিদ্ধ হবে। বিষয়টি দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক ভূচিত্রের বিষয়টি আরও বড় পরীক্ষার মুখে পড়বে। যেখানে নির্বাসিত ব্যক্তি ও তাদের ফেরত চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
এছাড়া শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারত এবার কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেটি ভবিষ্যতের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সামনে এ ধরনের পরিস্থিতির মুখে পড়লে দেশটি কী করতে পারে সেটি পরিষ্কার হবে।
সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানানোর পাশপাশি, ভারতকে এই বিষয়টির মানবিক দিক বিবেচনা করতে হবে। তারা শেখ হাসিনার মতো পুরোনো বন্ধুকে ফেরত দেবে কি না সেটিও দেখার বিষয়। তবে এই মুহূর্তে, ভারত নিরব কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে পারে। যেটির মাধ্যমে কোনো উত্তেজনা তৈরি না করে উদ্ভুত পরিস্থিতি সমাধান করা যাবে।
এদিকে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত চেয়েছে বাংলাদেশ। ফলে ভারতের জন্য বিষয়টি বেশ জটিল। বিষয়টি শুধুমাত্র আইনি বাধ্যবাধকাতেই সীমাবদ্ধ নয়। হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার বিষয়টি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে একটি ভুল সিদ্ধান্তে অনেক কিছু হতে পারে।
এসএস//