ভয়াবহ দাবানলে জ্বলছে হলিউড হিলস
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৫৮ পিএম, ৯ জানুয়ারি ২০২৫ বৃহস্পতিবার
ভয়াবহ দাবানলের আগুনে পুড়ে ছাই হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলসের বিশাল অংশ। দাউ দাউ করে জ্বলছে গোটা হলিউড হিলস। শক্তিশালী বাতাস, শুষ্ক আবহাওয়া এবং পানির চাপ কম থাকায় বেড়েছে আগুনের তীব্রতা। দাবানলে পুড়ে গেছে হলিউড হিলসও। সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলসের দমকল দফতর জানিয়েছে, প্রায় ২০ একর জুড়ে আগুন জ্বলছে রুনিয়ন ক্যানিয়ন ও ওয়াটলস পার্কের মধ্যবর্ এলাকা।
সানসেট নামের দাবানলে জ্বলছে হলিউড হিলস। যেখানে বিখ্যাত হলিউড সাইনবোর্ডটি অবস্থিত। স্থানীয় সময় বুধবার সেখানকার সাধারণ মানুষকে সরে যেতে বলা হয়। এরপরই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। ভয়াবহ এ আগুনে হলিউডের বেশ কয়েকজন তারকার বাড়ি পুড়ে গেছে। এছাড়া হার্স্ট এবং লিডিয়া নামের দুটি ছোট আকৃতির দাবানলও লস অ্যাঞ্জেলসে জ্বলছে।
ইটনের পর সবচেয়ে বেশি ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে পালিসাদেস দাবানলটি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটিও কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় বিভিন্ন শহর থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দাবানলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্যালিসাদেস। সেখানে এমন কিছু নেই যা আগুনে পোড়েনি। প্যালিসাদেসের সানসেট নামের সড়ক, যেটি লস এঞ্জেলসের মধ্যে দিয়ে মাইলের পর মাইল গেছে। সেটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই সেখানকার আবহাওয়াবিদরা দাবানলের ব্যাপারে সতর্ক করে আসছিলেন। তারা বলছিলেন, আবহাওয়া বেশ শুষ্ক হয়ে পড়েছে। তাদের সেই সতর্কতা সত্যি হয়ে এখন সেখানে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা গেছে বাড়ির পর বাড়ি, গাছপালা সবকিছু দাবানলে দাউদাউ করে জ্বলছে। এই আগুন নেভাতে সেখানে বর্তমানে ৭ হাজার ৫০০ ফায়ারকর্মী কাজ করছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার অগ্নি বিশেষঞ্জ শেড হ্যানসন বিবিসিকে বলেছেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণটি তাকে বেশ অবাক করেছে। আগুন এতটাই ছড়িয়েছে যে কোনো কোনো জায়গার সব ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি ছাই হয়ে গেছে। এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ফায়ার ফাইটাররা যখন দাবানলটির তীব্রতা দেখল তখন তারা এটি নিয়ন্ত্রণ করার বদলে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার কাজটি করলো। এখন পর্যন্ত দাবানলের আগুনে পাচজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে যদি শুরু থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে না নেওয়া হতো তাহলে সংখ্যাটি কয়েকশ হতে পারত।
তিনি সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, দাবানল থেকে যারা দূরে আছেন তাদেরও সতর্ক থাকতে হবে। কারণ আগুনের এসব কণা ফুসফুস এমনকি ধমনীতে পর্যন্ত প্রবেশ করে যে কাউকে অসুস্থ করে দিতে পারে।
এমবি