ঢাকা, শনিবার   ১১ জানুয়ারি ২০২৫,   পৌষ ২৮ ১৪৩১

কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কত মাসের রিজার্ভ রয়েছে, জানালেন গভর্নর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৩ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২৫ শনিবার

রিজার্ভ নিয়ে প্যানিকড হবার মতো কিছু হয়নি উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মুনসুর জানিয়েছেন, এখনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ৪ মাসের রিজার্ভ রয়েছে। তবে সতর্ক থাকার কথা বলেছেন তিনি। 

গভর্নর বলেছেন, রিজার্ভ নিয়ে আমাদের প্যানিকড হবার মতো কিছু হয়নি। এখনও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ৪ মাসের আমদানি দায় মেটানোর রিজার্ভ রয়েছে।  তবে সতর্ক থাকতে হবে। 

শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সেন্টার ফর এনআরবি আয়োজিত ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ শীর্ষ ‘ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স সিরিজ-২০২৫’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, গত ৫ মাসে রেমিট‍্যান্স বেড়েছে ৩ বিলিয়ন আর রফতানি বেড়েছে ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, গত ৫ মাসে রেমিট‍্যান্স ও রপ্তানি মিলে অতিরিক্ত সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডরার যোগ হয়েছে। নানা প্রতিকূলতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও রেমিট্যান্স বেড়েছে, একই সময়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে। এখানে প্রবাসীদের অনেক বড় অবদান রয়েছে। এতে চলতি হিসাবের যে ঘাটতি দেখা দিয়েছিল সেটা আর নেই।

তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে দেশে থেকে টাকা পাচার কমে গেছে। আগে দুবাই থেকেই ডলার পাচার হয়ে যেতো, এটা কমেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে গুড-গভর্নেন্স ফিরে আসায় টাকা পাচার ও ব‍্যাংকিং খাতে সুশাসন এসেছে। এতে অর্থনীতি মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে।

প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে গভর্নর বলেন, দেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে বিদেশিদের ব্যাপক সহয়তা পাচ্ছি, আমরা আইনজীবি নিয়োগ করছি। তবে টাকা পাচারকারীদের বিদেশে থাকা সম্পদের তথ্য দিয়ে প্রবাসীরা সহায়তা করতে পারেন

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মতো দিনে-দুপুরে এমনভাবে চরি হয়েছে যা বিশ্বের আর কোথাও আর হয়নি। এখন আমরা টাস্কফোর্স করেছি, বিদেশিরা কাজ করছে। আমরা পাচার কারীদের অর্থ দেশ ও দেশের বাইরে থেকে ফিরিয়ে আনবো। আমাদের দেশের বাইরের আদালতেও জিততে হবে। এক্ষেত্রে যদি প্রবাসীরা যদি পাচারকারীদের সম্পদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন তাহলে অনুসন্ধানে সুবিধা হবে, অর্থ ফিরিয়ে আনা সহজ হবে।

এসময় তিনি জানান, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনতে আড়াই (২.৫ শতাংশ) শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এতে বছরে সরকারের ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। তবে প্রবাসীদের জন্য সরকার ইতিবাচক। চলতি বছরের প্রবাসীদের মাধ্যমে ৩০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসবে। এখানে দক্ষ শ্রমিক গড়ে তুলেতে পারলে সেটা দ্বিগুণ হতো। প্রতিকূলতা আর রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও রেমিট্যান্স প্রবাহ স্মরণকালের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। আমরা সবাই মিলে দেশের স্বার্থে কাজ করবো, সরকার প্রবাসীদের এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।


এমবি//