টিউলিপের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা সাংবাদিককে হুমকির অভিযোগ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:৪৫ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২৫ শনিবার
যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির অর্থ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠে আসছে দেশটির সংবাদমাধ্যমে। আওয়ামী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট উপহার, ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তাসহ বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বেশ চাপের মধ্যে পড়েছেন তিনি।
এর মধ্যেই এক অন্তঃসত্ত্বা সাংবাদিককে হুমকির অভিযোগ উঠেছে টিউলিপ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ২০১৭ সালের ঘটলেও এর ভিডিওটি শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) পোস্ট করে সংবাদ প্রকাশ করেছে দ্য টেলিগ্রাফ।
ভিডিওতে দেখা গেছে, শেখ হাসিনার শাসনামলে নিখোঁজ হওয়া ব্রিটিশ-বাংলাদেশি আইনজীবী ব্যারিস্টার আরমানের মামলা সম্পর্কে টিউলিপকে জিজ্ঞাসা করেন ওই সাংবাদিক। জবাবে সাংবাদিকের উদ্দেশে টিউলিপকে বলতে শোনা যায়, ‘খুব সতর্ক থাকুন।’
টিউলিপ হুমকির সুরে বলেন, ‘আমি হ্যাম্পস্টেড এবং কিলবার্নের একজন লেবার এমপি। আমি একজন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য। খুব সাবধান থাকবেন। আমি বাংলাদেশি নই এবং আপনি যার কথা বলছেন, তাদের মামলা সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। আমার বক্তব্য এখানেই শেষ।’
টিউলিপ শেষের দিকে অন্তঃসত্ত্বা সাংবাদিক ও প্রডিউসার ডেইজি আইলিফকে বলেন, ‘এখানে আসার জন্য ধন্যবাদ ডেইজি। আশা করি, তোমার সন্তান ভালোভাবে হবে। কারণ, প্রসব খুবই কঠিন। দেখা হবে।’
এরপরই তার একজন সহকারী ক্যামেরার সামনে হাত দিয়ে সাংবাদিকদের ভিডিও ধারণ বন্ধ করতে বলেন। ওই সহকারী সাংবাদিকদের প্রশ্নগুলোকে অপ্রাসঙ্গিক ও বেপরোয়া মন্তব্য করে সাংবাদিকদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
চ্যানেল-৪ নিউজের প্রধান সংবাদদাতা অ্যালেক্স থমসন টিউলিপ সিদ্দিকের সে মন্তব্যকে হুমকিস্বরূপ বলে অভিহিত করেছেন। যদিও পরবর্তীতে টিউলিপ স্বীকার করেছিলেন যে, তার কথা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ভুক্তভোগী সেই সাংবাদিক আইলিফ গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্টে তার পুরোনো অভিজ্ঞতা নতুন করে শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, “যখন আমি ২০১৭ সালে টিউলিপ সিদ্দিকের বাংলাদেশের সঙ্গে তার রাজনৈতিক যোগসূত্র সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করি, তখন তিনি আমাকে ‘সতর্ক থাকতে’ বলেন। এ ঘটনার পর অফকম, পুলিশ এবং আমার বসদের কাছে অভিযোগ করেন এমপি। যদিও কোনো অভিযোগ টিকেনি। কারণ, সৌভাগ্যবশত আসলে যা ঘটেছিল তা ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয়েছে। যদি তা না হতো তাহলে তিনি আমার চাকরি খেয়ে দিতেন।”
কাই/এএইচ