ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৪ জানুয়ারি ২০২৫,   পৌষ ৩০ ১৪৩১

বাদ পড়লেই ভালো খেলেন লিটন!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:০১ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ সোমবার

খুব বাজে সময় কাটাচ্ছেন লিটন দাস। আসন্ন চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফির দল থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। কারণটা স্পষ্ট, তার অফ ফর্ম। দল ঘোষণার পর এই নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। তবে লিটন দাসের দল থেকে বাদ পড়ার সঙ্গে একটি অদ্ভুত বিষয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভাগ্য বলে বিবেচিত হচ্ছে অনেকদিন ধরে। 

লিটন দাস দল থেকে বাদ পড়লেই তার অফ ফর্ম আবারও ফুল ফর্মে ফিরে আসে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে বাদ পড়ার পরেই গতকাল সন্ধ্যায় বিপিএলে ৫৫ বলে ১২৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংসটি সহসাইদেশের ক্রিকেটপ্রেমি দর্শকদের মনে প্রশ্ন তুলছে—তাহলে কি আগেই বাদ দেওয়া উচিৎ ছিল লিটনকে?

গতকালের লিটনের ইনিংসের পরে অনেকেই বলছেন, এ যেন ঠিক ২০১৮ সালের পুনরাবৃত্তি। সেই বছরও বছরের শুরু থেকে ছন্দে ছিলেন না লিটন। এশিয়া কাপের শুরুর দিকে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁকে একাদশ থেকে বাদ দেওয়া হয়।

তবে ফাইনালে ভারতকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য দলে অভিজ্ঞতা ও আক্রমণাত্মক মেজাজের প্রয়োজনীয়তায় লিটনকে সুযোগ দেওয়া হয়। সেই ম্যাচে তিনি ১২১ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে রাখেন। এই ইনিংসটি শুধু তাঁর ক্যারিয়ার নয়, বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসেও বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। এরপর লিটন দাস জাতীয় দলে তাঁর জায়গা পাকাপোক্ত করেন।

ঠিক একইভাবে, ২০২৪ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে আবার বাদ পড়তে হলো লিটনকে। শেষ ১৩ ইনিংসে একটি ফিফটিও করতে না পারা এবং ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ লিপু স্পষ্টতই বলেছিলেন, “এই মুহূর্তে লিটন আস্থার জায়গায় নেই।” ২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে একটি ফিফটি করলেও পরবর্তী সময়ে তাঁর ব্যাটিং ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খায়। এশিয়া কাপ ২০১৮-এর মতো এবারও জাতীয় দল তাঁকে ‘বিশ্রাম’ দিলো।

তবে ঠিক ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়ে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে বাদ পড়ার পর লিটন দাস ঢাকা ক্যাপিটালসের হয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৫৫ বলে ১২৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন। এই সেঞ্চুরি শুধু ম্যাচ জেতায়নি, বরং লিটনের সামর্থ্য এবং তাঁর হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। অনেক ভক্তের মতে, বাদ পড়ার মানসিক চাপ এবং নিজেকে প্রমাণের ইচ্ছাই তাঁকে এমন একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলতে অনুপ্রাণিত করেছে।

সিলেটে লিটন-তামিমের এই রেকর্ডগড়া ইনিংস কি নির্বাচকদের ভাবিয়েছে আফসোসে? জাতীয় দলের জন্য যদি তিনি এমন ইনিংস খেলতে পারতেন, তবে হয়তো পরিস্থিতি ভিন্ন হতো

এসএস//