ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৯ ১৪৩২

এক যুগ পর কারামুক্ত ডেসটিনির চেয়ারম্যান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০৯ এএম, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:১৬ এএম, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ বৃহস্পতিবার

দীর্ঘ এক যুগ বছর পর কারামুক্ত হলেন মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন। 

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে মুক্ত হন তিনি। 

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর জেল সুপার আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

এর আগে মোহাম্মদ হোসেনের মুক্তির যাবতীয় কাগজপত্র কারাগারে আসলে তা যাচাই-বাছাই শেষে অন্য কোনো মামলায় আটকাদেশ না থাকায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

কারাগার থেকে বের হয়ে আসার সময় গেটে আত্মীয়-স্বজন ও ডেসটিনি পরিবারের লোকজন তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। 

এর আগে বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের অর্থ আত্মসাতে দুদকের করা মামলায় ডেসটিনির চেয়ারম্যান ও ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৯ জনকে ১২ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। সাজার অধিক মেয়াদ কারাভোগ করায় জেল কর্তৃপক্ষকে রফিকুল আমিন ও মুহাম্মদ হোসেনকে কারামুক্তির নির্দেশ দেন আদালত। 

প্রসঙ্গত, গ্রাহকের দুই হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ২২৭ টাকা আত্মসাত ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল আমীনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরকার। 

তদন্ত শেষে ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৪ সালের ২০ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার। তদন্তে আরও ৭ জনের নাম আসামির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট মামলাটির অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন আদালত। এই মামলায় বিচার চলাকালে ১৪০ জন সাক্ষী দিয়েছেন।

মামলার এজহারে বলা হয়, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের মামলায় আসামিরা নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত সাড়ে ৮ লাখেরও বেশি বিনিয়োগকারীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এই সময় ঋণ প্রদান, অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ, নতুন প্রতিষ্ঠান খোলার নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। 

যা পরবর্তী সময়ে আসামিরা লভ্যাংশ, সম্মানী ও বেতন-ভাতার নামে সরিয়ে নিয়েছেন।

অপরদিকে, ২০০৬ সালের ২১ মার্চ থেকে ২০০৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে গাছ বিক্রির নামে ডেসটিনি ট্রি-প্লান্টেশন লিমিটেডের জন্য দুই হাজার কোটিরও বেশি টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। যা পরবর্তী সময়ে আসামিরা বেতন-ভাতা, সম্মানী, লভ্যাংশ, বিশেষ ভাতা বা কমিশনের আকারে আত্মসাৎ করেন।

এএইচ