ঢাকা, শনিবার   ১৮ জানুয়ারি ২০২৫,   মাঘ ৪ ১৪৩১

মেসির জন্যই এমবাপ্পের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি নেইমারের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৫২ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ শুক্রবার

লিওনেল মেসি ও নেইমার জুনিয়রের বন্ধুত্বের খবর কারো অজানা নয়। মেসি বার্সা ছাড়ার পর বন্ধুর টানেই যোগ দেন প্যারিস সেন্ট-জার্মেইতে। তারা ক্লাবে থাকতেই গুঞ্জন ওঠে মেসি এবং নেইমারের সঙ্গে এমবাপ্পের সম্পর্কের অবনতির খবর। যদিও এ বিষয়ে তারা কখনোই কিছু খোলাসা করেননি। তবে অবশেষে সে হাঁড়ির খবর প্রকাশ্যে এনেছেন ব্রাজিলিয়ান মহাতারকা নেইমার।

ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোমারিও’র পডকাস্টে পিএসজির অন্দরমহলের রহস্য উন্মোচন করে নেইমার বনলেন, ‘তার (এমবাপ্পে) সঙ্গে আমার কিছু বিষয় ছিল। ছোটখাটো ঝগড়াও হয়েছিল, যদিও (পিএসজিতে) যোগদানের শুরুতে বিষয়টি অন্যরকম ছিল। আমি তাকে গোল্ডেন বয় বলে ডাকতাম।’

মেসির আগমনের পরই এমবাপ্পের সঙ্গে সম্পর্ক বিষিয়ে যায় নেইমারের। মেসির সঙ্গেও সম্পর্কের অবনতি হয় ওই ফরাসি তারকার। নেইমারের ভাষায়, ‘আমি সবসময় তার (এমবাপ্পে) সঙ্গে মিলে খেলতাম, বলেছিলাম সে (ভবিষ্যতে) বিশ্বসেরাদের একজন হবে। বেশ কয়েক বছর আমাদের মাঝে ভালো বোঝাপড়া ছিল, কিন্তু মেসি আসার পর সে ঈর্ষা করতে শুরু করে। সে আমাকে কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চায়নি (হাসি)। এরপর কিছু বিবাদ হয় এবং তার আচরণও বদলে যেতে থাকে।’

দলে যখন কয়েকজন মহাতারকা একসঙ্গে খেলেন, তখন তাদের মধ্যে ‘ইগো ক্ল্যাশ’ হওয়া বিরল কিছু নয়। পিএসজিতেও সেই ঘটনা-ই ঘটেছে। নেইমারের কথায় যা পরিষ্কারভাবে উঠে এসেছে, ‘ইগো থাকা সমস্যার কিছু না, কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে আপনি একা খেলতে পারবেন না। আপনার পাশে আরেকজনকে লাগবে। ইগো ইস্যু সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছিল, কিছু করা যাচ্ছিল না। যদি কেউ না দৌড়ায়, সাহায্য না করে, আপনি কিছুই জিততে পারবেন না।’

ইগো’র দ্বন্দ্ব এতটাই প্রকট হয়ে উঠেছিল যে ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে’কিপ জানায়, শেষদিকে মেসি-নেইমার থাকলে ক্লাবটির হয়ে আর না খেলার হুমকি দিয়েছিলেন এমবাপ্পে। এরপর আর পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যায়নি। একে একে তারা সবাই প্যারিস ছেড়েছেন।

মেসি এখন খেলছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে আর নেইমার যোগ দিয়েছিলেন সৌদি ক্লাব আল হিলাল-এ। অন্যদিকে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর এমবাপ্পেকে মাদ্রিদে নিতে সক্ষম হয়েছে রিয়াল। 

 

এমবি//