ঢাকা, রবিবার   ১৯ জানুয়ারি ২০২৫,   মাঘ ৬ ১৪৩১

গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু, ৩ জিম্মির নাম প্রকাশ হামাসের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৪৫ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ রবিবার | আপডেট: ০৪:১৩ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ রবিবার

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে দখলদার ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। হামাস ইসরায়েলের তিনজন নারী জিম্মির নাম প্রকাশ করেছে, যাদের যুদ্ধবিরতির চুক্তির আওতায় প্রথম ধাপে মুক্তি দেয়া হবে। 

টেলিগ্রামে এক পোস্টে তারা এসব নাম প্রকাশ করে। এরা হলেন- রোমি গোনেন, এমিলি দামারি ও ডরন স্টেইনব্রেচার।

ওদিকে হামাসের নাম প্রকাশের বিলম্বের মধ্যেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, যাতে ১০ জন নিহত হয়েছে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দী বিনিময়ের চব্বিশ ঘণ্টা আগেই নামের তালিকা দেয়ার কথা। আজই প্রথম দফার এই বিনিময় হওয়ার কথা।

এদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে ২০১৪ সালে গাজা যুদ্ধে নিহত একজন ইসরায়েলি সেনার দেহাবশেষ উদ্ধার করেছে তারা।

এক বিবৃতিতে তারা জানায়, গাজায় এক বিশেষ অভিযানে স্টাফ সার্জেন্ট ওরোন শাউলের দেহাবশেষ পেয়েছে তারা, যা এতদিন হামাসের নিয়ন্ত্রণে ছিল।

হামাসের হাতে আরও তিনজন ইসরায়েলি সেনা রয়েছে, যাদের ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে অপহরণ করা হয়েছিল।

নতুন চুক্তি অনুযায়ী হামাসের হাতে থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে। চুক্তির প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই বন্দি বিনিময় হবে।

একইসঙ্গে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িঘরে ফেরার অনুমতি পাবে। পাশাপাশি ত্রাণবাহী লরিগুলোকে প্রতিদিন গাজায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে।

দ্বিতীয় ধাপে হামাসের হাতে থাকা বাকী জিম্মিরা মুক্তি পাবে এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হবে। এর মাধ্যমে 'টেকসই শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে'।

আর তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে গাজা পুনর্গঠন হবে- যা শেষ করতে কয়েক বছর পর্যন্ত লাগতে পারে। একই সাথে মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেয়া হবে।

এএইচ