যুদ্ধবিরতি কার্যকর, ইসরায়েল জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রীর পদত্যাগ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:১৬ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ রবিবার | আপডেট: ০৬:১৯ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ রবিবার
তিন ঘণ্টা বিলম্বের পর অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। হামাস প্রথম দফায় তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার ঘোষণার পরই এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার প্রতিবাদে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়কমন্ত্রী বেন গভির।
স্থানীয় সময় আজ রোববার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হামাস কারণে যুদ্ধবিরতি ৩ ঘণ্টা পিছিয়ে যায়।
এর আগে জিম্মিদের তালিকা না পাওয়ায় যুদ্ধবিরতি পিছিয়ে দেয় ইসরায়েল। হামাসের নাম প্রকাশের বিলম্বের মধ্যেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
পরে হামাস ইসরায়েলের তিনজন নারী জিম্মির নাম প্রকাশ করেছে। যাদের যুদ্ধবিরতির চুক্তির আওতায় প্রথম ধাপে মুক্তি দেয়া হবে। টেলিগ্রামে এক পোস্টে তারা এসব নাম প্রকাশ করে। এরা হলেন রোমি গোনেন, এমিলি দামারি ও ডরন স্টেইনব্রেচার।
এর কিছুক্ষণ পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় গাজার স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ১১টার দিকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার ঘোষণা দেয়। এর আগে স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩০মিনিটে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হামাস জিম্মিদের নাম প্রকাশে দেরি করার কারণে যুদ্ধবিরতি পিছিয়ে যায়।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দী বিনিময়ের চব্বিশ ঘণ্টা আগেই নামের তালিকা দেয়ার কথা। আজই প্রথম দফার এই বিনিময় হওয়ার কথা ছিল।
এদিকে গাঁজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার প্রতিবাদে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী বেন গভির। তিনি উগ্র ডানপন্থী দল জিউশ পাওয়ারের হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্বও করতেন।
একই সময় সংসদ থেকে তার দলের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন ইয়িস্তহাক ওয়াসারলাউফ এবং এমিখাই এলিয়াহু। বেন-গভির দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিরোধিতা করে আসছেন এবং গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে জোর দিয়ে আসছিলেন।
এদিকে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছিল। রোববার ইসরায়েলের হামলায় গাজায় অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য সংস্থা।
২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়, যেখানে প্রায় ১,২০০ মানুষ নিহত হয়। এ সময় ২৫১ জিম্মি করে গাঁজায় নিয়ে যায় হামাস।
পরে ইসরায়েল গাজায় বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করে। গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে এখন পর্যন্ত ৪৬,৮০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এই হামলায়।
এএইচ