মধ্যরাতে ঢাবিতে ‘কোটা না মেধা, মেধা-মেধা’ স্লোগান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৫৩ এএম, ২০ জানুয়ারি ২০২৫ সোমবার
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতি রাখার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ‘কোটা না মেধা, মেধা-মেধা’ স্লোগান দেন।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে হলপাড়া থেকে মিছিলটি শুরু হয়। এরপর ভিসি চত্বর ও টিএসসি হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন বিক্ষোভকারীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা এক কঠিন গণআন্দোলনের মধ্যদিয়ে স্বৈরাচার পতনের ইতিহাস লেখেছি। মনে রাখতে হবে, এই কোটা আন্দোলনের মাধ্যমেই সেই গণআন্দোলনের শুরু। কিন্তু বর্তমান সরকারের ৬ মাস হয়ে গেলেও এখনো কোটা প্রথার বিলুপ্তি দেখতে পাইনি। এখনো কেউ কোটার জোরে ৪১ পেয়ে চান্স পায়, আরেকজন ৭৩ পেয়েও চান্স পায় না। যেই বৈষম্য নিরসন করতে গিয়ে আমাদের রাজপথে নামতে হয়েছিল সেই বৈষম্য দূর করতে যদি আবারও নামতে হয়, তাহলে এই সরকারেরও পরিণতি হাসিনার মতো হবে।’
তারা আরও বলেন, ‘আমাদের ভাইরা যে বৈষম্য দূর করতে গিয়ে নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন, সেই বৈষম্য এখনো থাকা মানে তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা। আমরা এটি সহ্য করবো না।’
অবিলম্বে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল বাতিল, একই সঙ্গে সব চাকরি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা বাতিলের দাবি জানান তারা।
এসময় তারা ‘কোটা না মেধা, মেধা-মেধা’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘মেডিকেলে কোটা কেন? প্রশাসন জবাব দে’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘অন্যায় হবে যতবার জেগে উঠবো ততবার’, ‘লড়াই লড়াই চাই’, ‘এই লড়াইয়ে জিতবে কারা? ২৪ এর সৈনিকরা’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটার বিরোধীতা করে ২০২৪ সালের জুন-জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ও এমন স্লোগান দেওয়া হত। সেই আন্দোলন এক পর্যায়ে সরকার পতনের এক দফায় রূপ নিলে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে টানা ১৫ বছরের শাসন শেষ হয় শেখ হাসিনার।
এএইচ