মিয়ানমারে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত জান্তাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:১১ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ মঙ্গলবার
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তথা জান্তাবাহিনী এবং দেশটির উত্তরাঞ্চলের বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) আনুষ্ঠানিক চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে গত শনিবার (১৮ জানুয়ারি) থেকে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই চুক্তির সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, চীনের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি হয়েছে, এবং এর লক্ষ্য হল দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় চলমান সংঘর্ষ থামানো।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, চীন আশা করে, এই যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে মিয়ানমারের উত্তরে দীর্ঘদিন ধরে চলা সহিংসতা বন্ধ হবে এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।
জানা গেছে, চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কুনমিংয়ে দুই পক্ষের মধ্যে এই আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে সংঘাতের অবসান শুধু মিয়ানমারের জন্যই নয়, এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এটি চীন ও মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।
তিনি আরও জানান, চীন এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করতে এবং শান্তি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজনে আরও সহযোগিতা ও সহায়তা প্রদান করবে।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই দেশটি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। এর আগে, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে চীন মিয়ানমারের উত্তর সীমান্ত অঞ্চলে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতা করেছিল। তবে, সেই চুক্তি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি এবং কয়েক মাসের মধ্যে সংঘর্ষ আবারও শুরু হয়।
এদিকে জাতিগত চীনা সংখ্যালঘু গোষ্ঠী এমএনডিএএ দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আসছে। তারা তাদের ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল থেকে সেনাবাহিনীকে সরানোর জন্য এই লড়াই চালিয়ে আসছে। এমএনডিএএ থ্রি ব্রাদার্স অ্যালায়েন্সের একটি অংশ, যার মধ্যে অন্যান্য গোষ্ঠী হিসেবে রয়েছে তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং আরাকান আর্মি (এএ)। ২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষের দিকে এই গোষ্ঠীটি মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে বড় ধরনের আক্রমণ শুরু করে, যার ফলে তারা চীনের সীমান্তবর্তী বেশ কিছু এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এসএস//