ওবায়দুল কাদেরের অবস্থান সম্পর্কে যা জানা গেল
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:১৪ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ মঙ্গলবার
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কোথায় আছেন তা নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক কৌতূহল। কিছুদিন আগে জানা গেল তিনি গোপনে দেশ ছেড়েছেন। তবে কোথায় অবস্থান করছেন বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এবার তার সর্বশেষ অবস্থান জানা গেছে।
সম্প্রতি শীর্ষ এক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, ওবায়দুল কাদের ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় অবস্থান করছেন। সেখানে তিনি ক্যাসিনো সম্রাট হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাটের ফ্ল্যাটে আছেন। খুব শিগগিরই ভারত ছেড়ে সিঙ্গাপুর হয়ে কানাডায় পাড়ি জমাতে পারেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
এছাড়াও ক্যাসিনোর সম্রাটের ফ্ল্যাটে বেশ কজন পুলিশের সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও রয়েছেন বলে জানা যায়।
ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা পালালেও দেশেই লুকিয়েছিলেন ওবায়দুল কাদের। পরে গ্রেপ্তার এড়াতে বিভিন্ন চক্রের সহযোগিতায় ভারতে পালিয়ে যান তিনি।
গত পাঁচ আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীর কয়েকজন সদস্য ও সাবেক এমপি, মন্ত্রীসহ অনেক নেতাই গা-ঢাকা দেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দলটির অনেক নেতাকর্মী বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। আওয়ামী লীগের ছোটবড় শতাধিক নেতা ঘাঁটি গেড়েছেন কলকাতার পার্কসার্কাস, গুলশান কলোনি, নিউটাউন, ভাঙড়, চিনার পার্ক, যাত্রাগাছী এলাকায়।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে কলকাতার নিউটাউনের অভয়ারণ্যে আশ্রয় নিয়েছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল, এরশাদ আলম, পারুল আক্তার, অসীম কুমার উকিল এবং অপু উকিল সহ আরও অনেকেই।
আবার কেউ কেউ ভারত হয়ে সিঙ্গাপুর, দুবাই হয়ে ইউরোপে পাড়ি জমিয়েছেন।
এদিকে শেখ হাসিনার সরকারের প্রভাবশালী নেতা সাবেক চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী লিটন ক্যাসিনো সম্রাট হিসেবে পরিচিত ইসমাইল হোসেন সম্রাট, নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল সহ দলটির অনেক নেতাই কলকাতায় রয়েছেন বলে জানা যায়।
এছাড়াও যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের একাংশ এখন কলকাতায় অবস্থান করছেন।
প্রসঙ্গত, নিউটাউন থানার কর্মকর্তারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে নিয়মিত অভিযান চালালেও আওয়ামী লীগ নেতাদের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম প্রযোজ্য হয়নি।
এএইচ