নভোথিয়েটার থেকে বাদ পড়ছে বঙ্গবন্ধু
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৪২ এএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ শুক্রবার
বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট আইন, ২০১৬ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার আইন, ২০১০ থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’ ও ‘শেখ মুজিবুর রহমান’ বাদ দিয়ে সংশোধনী আনতে খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট সূত্র সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, যেহেতু বর্তমানে জাতীয় সংসদ কার্যকর নেই, তাই রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এই আইন দুটি সংশোধন করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিদ্যমান আইনের আওতায় গঠিত ট্রাস্টের নামের ক্ষেত্রে উপাধি ও ব্যক্তির নাম বিলুপ্ত করা হলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর গ্রহণযোগ্যতা এবং মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার।
তাই বিদ্যমান আইন দুটির যেসব স্থানে উপাধি ও ব্যক্তির নাম ব্যবহার করা হয়েছে সেসব স্থান থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি ও ‘শেখ মুজিবুর রহমান’ নাম বিলুপ্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
দেশের মানুষ, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলা এবং বিনোদনের মাধ্যমে মহাকাশের গ্রহ-নক্ষত্র সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার লক্ষ্যে একটি প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর বিজয় সরণিতে এই নভোথিয়েটার স্থাপন করে সরকার। ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার আইনের মাধ্যমে এর নতুন নামকরণ করা হয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার’।
এর আগে বিএনপি জোট সরকার আমলে (২০০৪ সাল) এর নাম ছিল ভাসানী নভোথিয়েটার।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে দেশে এবং বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট নামে আইনের আওতায় একটি ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছিল। ওই আইনের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে দেশে-বিদেশে এমএস বা সমতুল্য ডিগ্রি, পিএইচডি, পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা বা অধ্যয়নের জন্য ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে ফেলোশিপ প্রদান, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষায়িত যোগ্যতাসম্পন্ন বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ, গবেষক ও একাডেমিশিয়ান তৈরির লক্ষ্যে এমএস বা সমতুল্য ডিগ্রি, পিএইচডি ও পোস্ট ডক্টরাল পর্যায়ে গবেষণা কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান, দেশে ও বিদেশে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এমএস, পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে গবেষকদের গবেষণা ও উন্নয়ন বিষয়ে অধিকতর দক্ষতা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি করা, দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়ক কার্যক্রম পরিচালনা করাসহ প্রশিক্ষিত বিজ্ঞানীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে এই আইন তৈরি করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারের নির্দেশে বিদ্যমান আইন দুটি থেকে উপাধি ও নাম বিলুপ্ত করে আইনের প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
এসএস//