ঢাকা, শুক্রবার   ২৪ জানুয়ারি ২০২৫,   মাঘ ১১ ১৪৩১

 আজ ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৫ এএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ শুক্রবার

ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস আজ ২৪ জানুয়ারি। বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতি লাভের পথে ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান ছিল একটা মাইলফলক। তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের (বাংলাদেশ) মুক্তিকামী নিপীড়িত জনগণের পক্ষে জাতির মুক্তি সনদ খ্যাত ছয় দফা ও পরবর্তীতে ছাত্র সমাজের দেওয়া ১১ দফা কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয়েছিল এ গণ অভ্যুত্থান। এই গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের পতন ঘটে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন। এছাড়া দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, গণ-অভ্যুত্থান দিবস বাংলাদেশের স্বাধীকার আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার ইতিহাসে এক অনন্য সাধারণ দিন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়। ঊনসত্তরের ২৪ জানুয়ারি শাসকগোষ্ঠীর দমন-পীড়ন বন্ধ ও পাকিস্তানি সামরিক শাসন উৎখাতের দাবিতে কারফিউ ভঙ্গ করে রাজনীতিক-ছাত্র-শিক্ষক-জনতা মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন ঢাকাস্থ নবকুমার ইনস্টিটিউশন স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমানসহ আরো অনেক সংগ্রামী প্রাণ। ১৯৬৯ সালের এই দিনে দেশের স্বাধিকার আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছেন, তাদের স্মৃতির প্রতি তিনি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ মতিউরসহ অন্যান্য শহিদের রক্ত বৃথা যায়নি উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পথ ধরে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার। জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানসহ দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান যুগিয়েছে অমিত প্রেরণা। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথ ধরে অর্জিত এই স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

অন্যদিকে, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে অভিহত করে বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তি সনদ ছয় দফা, পরবর্তীকালে ১১ দফা ও ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি মহান স্বাধীনতা।

তিনি মহান দিবসটি স্মরণে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে অর্জিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারসহ সবার দায়িত্ব হলো সেই মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা, যাতে আমরা একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারি।

এছাড়া ফেসবুক পোস্টে তারেক রহমান বলেন, ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আমি ঊনসত্তরের গণআন্দোলনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।

তিনি আরও বলেন, ২৪ জানুয়ারি আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৬৯ সালের এ দিনে তদানীন্তণ পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তোলে। গণআন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে তা গণঅভ্যূত্থানে পরিণত হয়েছিল। পতন নিশ্চিত হয়েছিল সামরিক স্বৈরশাসকের। আর এরই ধারাবাহিকতায় প্রশস্ত হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পথ।

এসএস//