ঢাকা, সোমবার   ২৭ জানুয়ারি ২০২৫,   মাঘ ১৪ ১৪৩১

দাদার পথেই হাঁটতে শুরু করেছেন সাইফপুত্র তৈমূর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৫৮ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ শনিবার | আপডেট: ০৮:২৫ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ শনিবার

গত ১৬ জানুয়ারি গভীর রাতে বান্দ্রা এলাকার সাইফ-কারিনার বাড়ীতে সাইফ আলী খানের ওপর চড়াও হয়েছিল দুষ্কৃতকারী। পরিবারকে রক্ষা করতে গিয়ে ওই দুষ্কৃতকারীর সঙ্গে হাতাহাতি বাধে সাইফের। সেই সময় সাইফের হাতে, ঘাড়ে, মেরুদণ্ডে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে, এমনই জানা গিয়েছে। অভিনেতার শরীরে ছ'টি ক্ষত রয়েছে। 

পরে শিরদাঁড়ায় গাঁথা ছুরি নিয়েই ছেলে তৈমুরের হাত ধরে হাসপাতালে প্রবেশ করেন অভিনেতা। মাত্র ৮ বছরের ছেলে তৈমুর বাবাকে নিয়ে যায় হাসপাতালে। কিছুদিন আগেই লীলাবতি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান অভিনেতা। 

ছেলে তৈমুরের হাত ধরে হাসপাতালে প্রবেশের ছবিটি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। এবার সাইফ-কারিনার আরেক সন্তান তৈমুরের একটি ভিডিও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিওটি আপলোড করেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট মাস্টার একাডেমি। তাদের পেইজে আপলোড করা সেই ভিডিওতে দেখা যায়, ছোট্ট তৈমূর নেটে নেমেছেন বল হাতে। কোচের সঙ্গে বোলিং এর নির্দেশনা নিয়ে বোলিং করেন তৈমূল, সফলতাও পান। তার করা বল আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। 

ভিডিওটির পরের অংশে প্যাড পরিহিত তৈমূরের দেখা মেলে একাডেমির ব্যাটিং কোচের সঙ্গে। কোচ তাকে শিখাচ্ছেন ব্যাটিং এর খুঁটিনাঁটি। ব্যাট-প্যাড আর হেলমেট পড়ে নেটের ক্রিজেও দেখা যায় তাকে। 

এদিকে জানা গেছে, দাদা ও বাবার মতো ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করেন ছোট্ট তৈমূর। তার দাদা মনসুর আলি খান পতৌদি ছিলেন ভারতের জাতীয় দলের অধিনায়ক। ৪৬টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ৩৪.৯১ গড়ে রান করেছেন ২৭৯৩ তিনি। বোলিংও করতেন তৈমূরের দাদা। তবে সেখানে সফলতা কম তার, ১৩২ ওভার বল করে মাত্র একটি উইকেট পেয়েছেন তিনি। 

ভারতের সর্বকালের সেরা ক্রিকেট অধিনায়কদের একজন ধরা হয় পতৌদিকে। তার নেতৃত্বেই ১৯৬৮ সালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দেশের বাইরে প্রথম টেস্ট জেতে ভারত। সে বছর উইজডেনের বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন তিনি। দলে বেশ কয়েকজন স্পিনার খেলানোর রীতি চালু হয় পতৌদির কৌশল থেকেই।

সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৬৪ সালে 'অর্জুন' ও ১৯৬৭ সালে 'পদ্মশ্রী' পুরস্কার পান মনসুর আলী। ২০০৭ সাল থেকে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে চলে আসা টেস্ট সিরিজের নাম 'পতৌদি ট্রফি'র রাখা হয়েছে মনসুল আলীর প্রতি সম্মান জানিয়েই।

এছাড়া সাইফ আলী খানও খুব ভালো ক্রিকেট খেলতেন। তবে বাবা পেশার দিকে না ঝুঁকে তিনি মা শর্মিলা ঠাকুরের পথই অবলম্বন করেন। বলিউডে তিন খানের বাইরে ছোট নবাব খেতাব পান। 

তৈমূরের ভিডিওটি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর নেটিজেনরা নানা মন্তব্য করেছেন। তারা বলেন, দাদার পদাঙ্কই অনুসরণ করছে কি ছোট্টো নবাব। 

এসএস//