প্রথম দিনেই ইজতেমায় ৩ মুসল্লির মৃত্যু
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৪৮ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ শুক্রবার
গাজীপুরের টঙ্গীতে মাওলানা জোবায়ের গ্রুপের ইজতেমা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বাদ জুমা উর্দুতে বয়ান করেছেন জর্ডানের শেখ উমার খতিব, বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা ইব্রাহীম। বাদ আসর বয়ান করবেন বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়ের, বাদ মাগরিব বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা আহমেদ লাট।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠের ৬৮টি খিত্তায় অবস্থান করছেন। ইজতেমা ও জুম্মার নামাজ উপলক্ষে আশপাশের এলাকারসহ পাঁচ লাখ মুসল্লির আগমন ঘটে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপির) গোয়েন্দা বিভাগের তথ্যে জানা গেছে, ৪৬টি দেশের বিদেশি মুসল্লি এবারের প্রথম পর্বের ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে উর্দুভাষী ৭৬০, আরবের ৮৯ ও ইংরেজ ৩০৫ জন। আগে থেকেই বাংলাদেশে থেকে অবস্থানরত বিদেশি মেহমান ৪২৬ জনসহ মোট ১৫৮০ জন চারটি বিদেশি টেন্টে অবস্থান করছেন। এ পর্যন্ত তিন জন মুসল্লির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
তারা হলেন- আমিরুল ইসলাম (৪০), আব্দুল কুদ্দুস গাজী (৬০) ও সাবেদ আলী (৭০)। এর মধ্যে আব্দুল কুদ্দুস গাজী ইজতেমা ময়দানে ও বাকি দুই জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
শ্বাসকষ্টসহ অন্য রোগে এখন পর্যন্ত ৩৮ মুসল্লি টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে যার যার খিত্তায় চলে যান। এর মধ্যে একজন বিদেশি, পাঁচ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। মুসাব্বির নামে এক পুলিশ সদস্য শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মাওলানা সাদ অনুসারী ৮৫ জন বিদেশিসহ ২২০/২৫০ জন জুমার নামাজ আদায় করছেন।
ইজতেমা মাঠের সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ ও র্যাবের কন্ট্রোল রুম এবং ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। মনিটরিং করা হচ্ছে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে। খিত্তায় খিত্তায় সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। ইজতেমা আয়োজক কমিটির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে।
ইজতেমার মুরুব্বিদের দেওয়া তথ্যমতে, ১৯৪৬ সালে কাকরাইল মসজিদে প্রথম ইজতেমার আয়োজন করা হয়। তারপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজি ক্যাম্পে এবং ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। পরে লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১৯৬৬ সালে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে স্থানান্তর করা হয় ইজতেমা। পরে ১৯৭২ সালে সরকারিভাবে তুরাগ তীরের ১৬০ একর জমি স্থায়ীভাবে ইজতেমার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এসএস//