নির্বাচনের আগেই পতিত স্বৈরাচারের বিচার নিশ্চিত করতে হবে: ছাত্রশিবির সেক্রেটারি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৩০ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ শুক্রবার | আপডেট: ০৮:৩৩ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ শুক্রবার
ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, নির্বাচনের আগেই পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের গুম, খুন, দুর্নীতিসহ রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে গণমিছিল’ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইট থেকে গণমিছিলটি শুরু হয়।
মিছিলটি বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব, মৎস্য ভবন হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশ সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও যারা বাংলাদেশের মানচিত্রকে কলুষিত করেছে, বাকশাল কায়েম করে এদেশকে ভঙ্গুর দেশে পরিণত করেছিল, জুলাই আন্দোলনে যাদের হাতে নির্বিচারে সাধারণ ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছে, সেই পতিত ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচরী সরকারের বিচার হতে দেখিনি। আমরা বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা লক্ষ করছি। আমরা হুঁশিয়ার করে বলে দিতে চাই, এই বাংলার মাটিতে তাদের বিচার করেই পরবর্তী নির্বাচনের দিকে যেতে হবে। নির্বাচনের আগেই পতিত স্বৈরাচারের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। কিছু রাজনৈতিক দল এই দাবিতে সরব না থেকে চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও দখলদারিতে লিপ্ত হয়েছে।
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত না করার আগ পর্যন্ত ছাত্রসমাজকে নিয়ে ইসলামী ছাত্রশিবির মাঠে থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম অচিরেই আওয়ামী লীগের হত্যাকাণ্ডের বিচার বাংলাদেশে হবে। কিন্তু দেখছি তাদের এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। ছাত্রলীগ, যুবলীগের সন্ত্রাসীরা এখনো আমাদের ভাইদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করছে। আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
গণমিছিলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম, মানবাধিকার সম্পাদক সিফাত আলম। আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয় শাখাসহ অন্যান্য শাখার সভাপতি, সেক্রেটারি ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এসএস//