ঢাকা, সোমবার   ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,   মাঘ ২১ ১৪৩১

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেল পলাতক আসামি গ্রেফতার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:০৬ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সোমবার

১০ বছরের শিশু ফাতেমা আক্তার ইতিকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেল পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। 

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগরী (সিএমপি)র ইপিজেড থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃ সুমন জোমাদ্দার (২৭)। পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার বুখাইতলা গ্রামের মোস্তফা জোমাদ্দারের ছেলে তিনি।

শিশু ফাতেমা আক্তার ইতি (১০) পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলাস্থ নানা বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়তো। ২০১৪ সালের ৫ অক্টোবর সকালে গরুকে ঘাস খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয় সে। সারাদিন ঘরে না ফেরায় শিশুটির পরিবার ও আত্মীয়স্বজন তাকে খোঁজাখুজি করতে থাকে। পরদিন দুপুরে পাশের বাড়ির একটি বাগানে ফাতেমার ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ পাওয়া যায়। 

এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ০৮(১০)১৪। উক্ত মামলার তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল করা হলে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, পিরোজপুর আসামি সুমন জোমাদ্দার (২৭)সহ ২ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় প্রদান করেন।

আসামি মোঃ সুমন জোমাদ্দার (২৭) গ্রেফতার হয়ে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে আটক ছিলেন (মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি নং-৪৬০২/এ)। গত ৬ আগস্ট, ২০২৪ কাশিমপুর কারাগারে হামলা-ভাংচুর ও বিশৃঙ্খলার ঘটনার সময় সুমন জোমাদ্দার (২৭) জেল থেকে পালিয়ে আত্মগোপন করেন। 

কারা কর্তৃপক্ষ উক্ত ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। আসামি জেল পলাতক হয়ে দীর্ঘদিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনের পর চট্রগ্রাম শহরের ইপিজেড এলাকার একটি গার্মেন্টস কারখানায় ভুয়া নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। 

এটিইউ’র একটি চৌকস দল জিএমপি’র কোনাবাড়ী থানার অধিযাচনপত্রের ভিত্তিতে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহপূর্বক আসামির অবস্থান সনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। 

উল্লেখ্য, মোঃ সুমন জোমাদ্দার (২৭) মঠবাড়িয়া থানার আরও ১০টি মামলার এজাহারনামীয় আসামি।

গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিএমপি’র কোনাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এএইচ