আন্দোলন প্রত্যাহার তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৪৭ এএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মঙ্গলবার
বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে চলমান আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেয়া প্রতিশ্রুতি সাত দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে আবারও রাজপথে নামবেন তারা।
সোমবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামান, সরকারি তিতুমীর কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিপ্রা রাণী মণ্ডলের উপস্থিতিতে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ৭ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে পরবর্তীতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিতুমীর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর আন্দোলনের ১২ শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কলেজের অধ্যক্ষসহ তিন অধ্যাপক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই যুগ্ম সচিব এবং গুলশান জোনের উপপুলিশ কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।
আগামী সাত দিনের মধ্যে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ ইস্যুতে সরকার পদক্ষেপ নেবে, এমন আশ্বাসে আমরণ অনশনও ভেঙেছেন শিক্ষার্থীরা। রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. নুরুজ্জামান এবং তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিপ্রা রানী মণ্ডলের উপস্থিতিতে তারা অনশন ভাঙেন। এ সময় অনশনে বসা শিক্ষার্থীদের প্যাকেটজাত আমের জুস খাওয়ান অধ্যক্ষ।
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে বেশ কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এই দাবিতে মিছিল, সড়ক-রেলপথ অবরোধ, স্মারকলিপি প্রদান, ক্লাস বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তবে সম্প্রতি এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো সাড়া না পেয়ে গত বুধবার থেকে দাবি আদায়ে আমরণ অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। তারা টানা ষষ্ঠ দিনের মতো সোমবারও রাজপথে সরব ছিলেন। ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’র অংশ হিসেবে মহাখালীর রেললাইন অবরোধ করেন। বিকেলে শতাধিক শিক্ষার্থী কলেজের ফটক থেকে মিছিল নিয়ে মহাখালীতে যান।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী নায়েক নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি। রোববারের ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রেলপথ ও সড়কপথ অবরোধ করেছি।’
এমবি//