গাজা ‘দখল’ করবে যুক্তরাষ্ট্র, জানালেন ট্রাম্প
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:০৮ এএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বুধবার
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা ভূখণ্ডকে যুক্তরাষ্ট্র ‘দখল’ করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এজন্য সেখানে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের চলে যেতে হবে।
মঙ্গলবার ( ৪ ফেব্রুয়ারি) ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই প্রস্তাব দেন ট্রাম্প। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকা দখল করবে এবং আমরা এখানে আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বিতীয় মেয়াদে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবার পর থেকেই নানা বিষয়ে নিয়ে একের পর এক মন্তব্য করছেন ট্রাম্প। বিশেষকরে, ফিলিস্তিনিদেড় দেশ ত্যাগ করে গাজা পরিষ্কারের বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
পরে তিনি গাজা অঞ্চলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। বলেন, আমরা গাজার মালিক হব এবং উপত্যকাটিতে থাকা সমস্ত বিপজ্জনক অবিস্ফোরিত বোমা এবং অন্যান্য অস্ত্র ভেঙে ফেলা হবে। এলাকাটিকে সমতল করা হবে এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনগুলোও অপসারণ করে ফেলা হবে।
গাজায় নিরাপত্তার জন্য তিনি মার্কিন সেনা পাঠাতে ইচ্ছুক কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প সে সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি।
ট্রাম্প বলেন, গাজার জন্য প্রয়োজনে আমরা সব করব। যদি সেখানে সেনা পাঠানোর প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা পাঠাব।
এর আগে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য ওয়াশিংটনে পৌঁছান ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ইসরাইল-হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পরই গাজা ‘ধ্বংসস্তুপে পরিণত’ হয়েছে দাবি করে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে অন্য দেশে সরে যাওয়ার কথা বলেছিলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে সাংবাদিকদের আর বলেন, গাজায় দীর্ঘমেয়াদী মালিকানা স্থাপনের মাধ্যমে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। এটি হালকাভাবে নেয়া কোনও সিদ্ধান্ত নয়। আমি যাদের সাথে কথা বলেছি তারা সকলেই এই ধারণাটি পছন্দ করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র গাজার মালিক হবে, এই অঞ্চলের উন্নয়ন করবে এবং হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করবে।
তবে সিএনএন বলছে এই অঞ্চলের অনেকেই ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরোধিতা করবেন। যদিও তিনি দাবি করেছেন যে অনেকেই তার প্রস্তাবটি পছন্দ করেছেন।
ইতিমধ্যেই, মিশর এবং জর্ডান ট্রাম্পের ‘আরও ফিলিস্তিনি’ শরণার্থীদের গ্রহণের ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছে।
এদিকে সোমবার (৩ ফেব্রয়ারি) ট্রাম্প ওভাল অফিসে বলেছিলেন আমি মনে করি না ফিলিস্তিনিদের গাজায় ফিরে যাওয়া উচিত। আমি শুনেছি যে গাজা তাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক একটি জায়গা। তারা সেখানে নরকের মতো বাস করে। গাজা মানুষের বসবাসের জায়গা নয়। তারা সেখানে ফিরে যেতে চায় তার একমাত্র কারণ হলো তাদের কাছে কোনও বিকল্প নেই।
পরে, তিনি বলেন গাজায় ফিলিস্তিনিরা ফিরে আসতে পারে তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন তিনি গাজাকে তাদের স্থায়ী আবাসস্থল হিসেবে ভাবছেন না।
এমবি//