ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,   মাঘ ২৪ ১৪৩১

যবিপ্রবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি, নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া

যবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৪:১৮ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৪:২১ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বৃহস্পতিবার

সম্প্রতি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলার মুখ্য সংগঠক আল মামুন লিখন ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। এ পোস্টকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। 

এ ধরণের কমিটি রাজনৈতিক বা অন্য কোন গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার আশঙ্কাও করছেন অনেকে। এছাড়াও যবিপ্রবি পরিবার নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে একটি পোল দেওয়া হলে এতে মোট ৩৬৩ জন শিক্ষার্থী ভোট প্রদান করেন। যেখানে ২৮৮ জন শিক্ষার্থী এ কমিটি চাই না বলে ভোট প্রদান করেন। 

ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন এই কমিটি গঠনের প্রচেষ্টাকে কিভাবে দেখছেন শিক্ষার্থীরা তা তুলে ধরছেন যবিপ্রবি প্রতিনিধি মোস্তফা গালিব।

মার্কেটিং বিভাগের (২০২০-২১) শিক্ষার্থী শামসুজ্জামান হৃদয় বলেন, আমি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় আন্তরিক হয়, তাহলে এই কমিটি গঠন করার দরকার নেই। বরং প্রশাসনকে আরও জবাবদিহিতার আওতায় এনে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধান করাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিগত ছাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রম বিবেচনা করলে মনে করি ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির প্রয়োজন নেই।

হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের (২০২০-২১) খাদিজা খাতুন রিয়া বলেন, যবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষায় ছাত্র প্রতিনিধি কমিটি গঠন জরুরি বলে আমি মনে করি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাই আন্দোলনে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং যবিপ্রবির শিক্ষার্থীরাও এই আন্দোলনের অংশ। তবে এই কমিটিতে কোন রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের স্বার্থে কেউ থাকতে পারবে না বরং স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে হবে।

কেমিকৌশল বিভাগের (২০২১-২২) আবু সাহেদ বলেন, যবিপ্রবিতে বৈষম্যবিরোধী কমিটি গঠনের তোড়জোড় চলছে, কিন্তু এটা আসলেই কি বৈষম্য দূর করতে পারবে, নাকি নতুন বিভক্তির সৃষ্টি করবে? একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমি মনে করি, এই ধরনের কমিটি আসলে অনেক সময় পক্ষপাতমূলক হয়ে যায়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেখানে সবার সমান অধিকার থাকা উচিত, সেখানে নতুন কমিটি গঠন মানে আরেকটি ক্ষমতার বলয় তৈরি করা। বৈষম্য দূর করতে হলে কমিটি নয়, দরকার স্বচ্ছ নীতি, কার্যকর প্রশাসন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য সমান সুযোগ। কোনো পক্ষপাতদুষ্ট কমিটির দরকার নেই, দরকার প্রকৃত সমাধান।

এএইচ