টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ
ট্রাম্পের চেয়ারে ইলন মাস্ক!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:২৬ পিএম, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রবিবার
![](https://www.ekushey-tv.com/media/imgAll/2020June/10-2502090726.jpg)
দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের মসনদে বসার পর থেকে ইলন মাস্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবার দেখা গেলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ারে বসে আছেন ইলন মাস্ক। টাইম ম্যাগাজিনের সর্বশেষ প্রচ্ছদে মাস্ককে এমন দেখা যায়। ম্যাগাজিনটির এই প্রচ্ছদ জন্ম দিয়েছে নতুন আলোচনা-সমালোচনার। বিশ্লেষকদের দাবি, ট্রাম্প প্রশাসনে মাস্কের ক্ষমতার মাত্রা বোঝাতেই এই প্রচ্ছদ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, তার কার্যালয় বা ওভাল অফিসে যে টেবিলে বসে দাপ্তরিক কাজ করেন, সেই টেবিল, যা ‘রেজ্যুলেট ডেস্ক’ নামেই বেশি পরিচিত। টাইম ম্যাগাজিনের সর্বশেষ প্রচ্ছদে সেই ডেস্কে প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসে আছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক!
ম্যাগাজিনটিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের “ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি” (ডিওজিই)–এর প্রধান হিসেবে মাস্ককে যে নজিরবিহীন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তা এখন আদালতে মামলার কারণে কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তবে তার নীতি বাস্তবায়নের ফলে লাখ লাখ সরকারি কর্মী চাকরির অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।
টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে মাস্কের উপস্থিতি ট্রাম্পের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে, কারণ তিনি বরাবরই এই ম্যাগাজিনের কভার পেজকে সম্মানের প্রতীক হিসেবে দেখেন। ২০২৪ সালে “পারসন অব দ্য ইয়ার” নির্বাচিত হওয়া ট্রাম্প ইতোপূর্বে তার নিজের নামে একটি জাল টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ বানানোর জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন।
এ ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মজা করে বলেন, “টাইম ম্যাগাজিনের কি এখনও ব্যবসায় টিকে আছে? আমি জানতাম না!”
টাইম–এর কভার কোনো উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক ব্যক্তিত্বকে ট্রাম্পের ছায়ার বাইরে আলাদাভাবে উপস্থাপন করার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। ২০১৭ সালে ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে তৎকালীন প্রধান কৌশলবিদ স্টিভ ব্যাননকে “দ্য গ্রেট ম্যানিপুলেটর” হিসেবে দেখানো হয়েছিল। পরবর্তীতে ব্যাননের জনপ্রিয়তা বেড়ে গেলে ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং শেষ পর্যন্ত তাকে প্রশাসন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, ইলন মাস্ক তার নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স এ এই বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেননি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যদি ট্রাম্প মনে করেন যে মাস্ক প্রশাসনের ওপর তার প্রভাব ক্ষুণ্ন করছেন, তাহলে তার ভবিষ্যৎও ব্যাননের মতো হতে পারে।
এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাইমের এই প্রতিবেদন এমন একসময় প্রকাশিত হলো, যখন মাস্ক সরকারের ব্যয় কমাতে এবং সরকারি কর্মচারী কমানোর নজিরবিহীন এক প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছেন, যার পুরোটাই রহস্যে আবৃত।
এমবি//