ঢাকা, মঙ্গলবার   ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,   মাঘ ২৯ ১৪৩১

টিউলিপকে নিয়ে আবারও টেলিগ্রাফের বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:০৯ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সোমবার

বিদেশে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এরই ধারাবাহিকতায় মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অর্জিত যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিকের অবৈধ অর্থ জব্দ করবে বাংলাদেশ বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ। 

রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) দ্য টেলিগ্রাফ এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। 

প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, লন্ডনে টিউলিপের যে কোটি কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে তা বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থে কেনা। বাংলাদেশ এরই মধ্যে টিউলিপসহ শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের দুর্নীতির তদন্তে বহু দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির তদন্ত করছে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করছেন দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির (এনসিএ) গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

প্রায় এক মাস আগে সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে পদত্যাগ করলেও এখনো সম্পত্তিসংক্রান্ত বিষয়সহ বাংলাদেশে তার খালা শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের সঙ্গে যোগসূত্র নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন টিউলিপ সিদ্দিক।

বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে টিউলিপ সিদ্দিক, শেখ হাসিনাসহ তাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়টি তদন্ত করছে দুদক। লন্ডনে টিউলিপের মালিকানাধীন ৭ লাখ পাউন্ড মূল্যের ফ্ল্যাট সেই দুর্নীতির অর্থে কেনা হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

দুদকের মহাপরিচালক আখতার হোসেন বলেন, দুদক টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগ তদন্ত করছে এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে একটি প্রতিবেদন পাঠাতে বলেছে। আমরা এখনো যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশসহ বিদেশি উৎস থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করছি। প্রাথমিক প্রতিবেদনে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে পাচারকৃত অর্থ কেবল যুক্তরাজ্যেই নয়, বরং বিভিন্ন গন্তব্যে স্থানান্তরিত হয়েছে। আমরা যথাযথ চ্যানেলের মাধ্যমে পারস্পরিক আইনি সহায়তার অনুরোধ পাঠানোর চেষ্টা করছি। তাই, বিদেশি এবং অন্যান্য উৎস থেকে সহায়তা পাওয়ার পর, আমাদের দল সিদ্ধান্ত নেবে যে তারা কীভাবে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।

তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যসহ একাধিক দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। এই বিষয়ে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়েছে এবং তদন্ত দল আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্থ দেশে ফেরত পাঠাতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের বর্তমান ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি)। তিনি যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সম্প্রতি বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের দুর্নীতির সঙ্গে তার নাম উঠে আসায় মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয় তাকে।

এসএস//