ঢাকা, বুধবার   ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,   মাঘ ২৯ ১৪৩১

রয়টার্সের প্রতিবেদন

ভারতের আদানির উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই চাইছে ঢাকা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৩০ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মঙ্গলবার

ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ারের এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই সরবরাহ করতে বলেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বাংলাদেশের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, আদানি পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীতের মৌসুমে চাহিদা কম থাকায় এবং অর্থপ্রদান সংক্রান্ত জটিলতার কারণে গত তিন মাসেরও বেশি সময় সরবরাহ কম ছিল। এখন আদানিকে সেই প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুতের পূর্ণ সরবরাহ পুনরায় চালু করতে বলেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

২০১৭ সালে বাংলাদেশের তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময় আদানি পাওয়ারের সঙ্গে ২৫ বছরের চুক্তি সই হয়। ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে অবস্থিত দুই বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই প্ল্যান্টটি ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট নিয়ে নির্মিত, যা একচেটিয়াভাবে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থ দিতে দেরির কারণে আদানি পাওয়ার ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে। এর ফলে ১ নভেম্বর প্ল্যান্টের একটি ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়, যা প্ল্যান্টের উৎপাদন সক্ষমতা ৪২ শতাংশে নেমে আসে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার শুধুমাত্র অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ বজায় রাখতে বলে।

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) জানিয়েছে, তারা আদানিকে প্রতি মাসে ৮ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার পরিশোধ করছে এবং এখন দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় শুরু করতে বলেছে।

বিপিডিবির চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম রয়টার্সকে বলেন, আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী, তারা দ্বিতীয় ইউনিটটি সিঙ্ক্রোনাইজ করার পরিকল্পনা করেছে, কিন্তু উচ্চ কম্পনের কারণে তা সম্ভব হয়নি। কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সোমবার থেকে ইউনিটটি পুনরায় চালু করা যায়নি।

তিনি আরও জানান, এই মুহূর্তে আমরা প্রতি মাসে ৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার পরিশোধ করছি এবং আরও বেশি অর্থ দেয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের লক্ষ্য ওভারডিউ কমানো। এখন আদানির সঙ্গে বড় কোনো সমস্যা নেই।

গোপনীয়তা বজায় রাখতে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি একটি বৈঠকের পর মঙ্গলবার বিপিডিবি ও আদানি পাওয়ারের কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

আদানি পাওয়ারের একজন মুখপাত্র এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে গত ডিসেম্বর মাসে আদানির একটি সূত্র জানিয়েছিল, বিপিডিবির কাছে কোম্পানির পাওনা ৯০০ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, বিপিডিবির চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেছিলেন, পাওনার পরিমাণ প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন ডলার।

এসএস//