ঢাকা, বুধবার   ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,   মাঘ ২৯ ১৪৩১

রাজনীতি না বিসিএস, যে পথে আগাতে চান সারজিস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:০৫ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৬:১০ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মঙ্গলবার

২০২৪ জুলাইয়ের আগেও বিসিএসের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তবে, এখন কি আর বিসিএস দেবেন নাকি আমলা তাদের বস হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন? সম্প্রতি যমুনা টেলিভিশনের টকশো সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে সারজিস আলম বলেন, সত্যি কথা বলতে বাংলাদেশে এই যে বস হওয়ার চিন্তা-চেতনা, এটা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। 

তিনি বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে যে জিনিসটি দেখেছি, এতোদিন আমাদের যারা রাজনীতিবিদ ছিল তারা একবার ভোটে হোক বা ভোট ছাড়া হোক নির্বাচিত হওয়ার পরে তাদের পা আর মাটিতে পড়তো না। পা তখন ওপরের দিকে থাকতো। আমরাও যখন বস হওয়ার চিন্তা করবো তখন পা মাটিতে থাকবে না। জাস্ট নির্বাচনের আগের দিন জনগণের কাছে যাব, বড়বড় লেকচার দিব, তারপর পাঁচ বছর খুঁজে পাওয়া যাবে না। 

সারজিস আলম বলেন, বিসিএস দিয়ে প্রশাসন ক্যাডারে যাওয়ার আমার যে ইচ্ছা ছিল একসময়। কিন্তু আমি যখন আমলাতন্ত্রের চেইন অব কমান্ড আর চাটুকারিতার নিদর্শন দেখতে পেয়েছি; এই জায়গা থেকে রাষ্ট্রের জন্য যা কন্ট্রিবিউশন করা প্রয়োজন তা হবে না। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দরকার দেশপ্রেম আছে, সততা আছে, ইন্টিগ্রিটি আছে এরকম তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতিতে এগিয়ে আসা। এই মানুষগুলোকে রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

ওই পলিসি মেকিংয়ের জায়গাগুলোতে এই মানুষগুলো না থাকলে বিগত বছরগুলোতে যা দেখেছি, তুলনামূলক অযোগ্য, ধান্ধাবাজ, স্বার্থপর, নিজের আখের গোছানো যে মানুষগুলো তারাই ওই সংসদে বসে থাকবে। বসে বসে তারা শরীরে হাড় ২০৬টা আর কানাডায় বাড়ি করবে ৩৬০টা। এরকম অবস্থা হবে।

তিনি বলেন, আমি আমার জায়গা থেকে মনে করি, এই তরুণদের রাজনীতিতে এগিয়ে আসতে হবে পলিসি মেকিংয়ের জন্য। আমার মনে হয়েছে ওই সিভিল সার্ভিসের চেয়ে আমি যদি এই রাজনীতির মাঠে থাকতে পারি সততা আর অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে সামনে রেখে; তাহলে আমি দেশের এবং মানুষের জন্য অনেক বেশি কিছু করতে পারবো। সেটাকে সামনে রেখে আমি কাজ করতে চাই।

এমবি//