ঢাকা, বুধবার   ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,   মাঘ ৩০ ১৪৩১

বিডিআর ইস্যুতে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের আশ্বাস হাসনাতের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:২৯ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বুধবার | আপডেট: ০৪:৩৩ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বুধবার

বিডিআরের চাকরিচ্যুত সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহালসহ ছয় দফা দাবিতে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে বৈঠকের আশ্বাস দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার পর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে ঘটনাস্থলে আসেন তিনি। এসময় হাসনাত চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।

এর আগে দুপুরে ২০০৯ সালে ঢাকার পিলখানায় বিদ্রোহের অভিযোগে চাকরিচ্যুত ও মামলার আসামি হয়ে কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তি এবং চাকরি ফেরতে দাবিতে সচিবালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের সামনে সড়ক অবরোধ করেন বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। তারও আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার।

এর আগে আন্দোলনরত বিডিআর সদস্যদের শপথ পাঠ করান এ সমন্বয়ক। পরে আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার পর এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ছয় দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন বিডিআর কল্যাণ পরিষদ। চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের দাবিগুলো হচ্ছে—

১. পিলখানার ভেতরে ও বাইরে ১৮টি বিশেষ আদালত ও অধিনায়কের সামারি কোর্ট গঠন করে যেসব বিডিআর সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। একইসঙ্গে তাদের ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

২. এরই মধ্যে হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত এবং সাজা শেষ হওয়া কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। এ ছাড়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিস্ফোরক মামলা বাতিল করতে হবে।

৩. গঠিত কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত ব্যতীত শব্দ এবং কার্যপরিধি ২ এর (ঙ) নং ধারা বাদ দিতে হবে। একইসঙ্গে স্বাধীন তদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে অন্যায়ভাবে দণ্ডিত নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ উদঘাটন, মূল ষড়যন্ত্রকারী, হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

৪. পিলখানায় শহীদ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১০ জন বিডিআর সদস্যসহ সর্বমোট ৭৪ জনের হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে কারাগারে মারা যাওয়া সব বিডিআর সদস্যের মৃত্যুর সঠিক কারণ উন্মোচন করতে হবে। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে থাকলে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৫. স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী বিডিআর নাম ফিরিয়ে আনতে হবে।

৬. পিলখানার হত্যাকাণ্ডে সব শহীদের স্মরণে জাতীয় দিবস ঘোষণা করতে হবে। একইসঙ্গে শহীদদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

এমিব//