ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,   ফাল্গুন ১ ১৪৩১

ধামরাইয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পার্ক কর্মচারীদের সংঘর্ষ, আহত ৫০

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫০ এএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বৃহস্পতিবার

ধামরাইয়ের একটি বিনোদন কেন্দ্রে পিকনিকে এসে শিক্ষার্থীদের মোবাইল হারানোকে কেন্দ্র করে পার্কের কর্মচারিদের সাথে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।

বুধবার বিকালে ধামরাইয়ের আলাদীন পার্কে এই হাতাহতির ঘটনা ঘটে। 

এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিনোদন কেন্দ্রের কিছু স্থাপনায় ভাঙচুর চালায়। অপরদিকে পার্কের কর্মচারিরা শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাস ভাঙচুর করে। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ৪০-৫০ জন আহত হয়েছেন। 

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ধামরাই থানা পুলিশ। 

এর আগে সকালে মিরপুরের বনফুল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পিকনিক করতে আসেন বিনোদন কেন্দ্রটিতে। পুলিশ জানায়, বেড়াতে আসা শিক্ষার্থীরা বিনোদন কেন্দ্রটির লকারে তাদের মোবাইলসহ অন্যান্য জিনিসপত্র রেখে গোসলে নামে। পরে কয়েকজন শিক্ষার্থী লকার থেকে মোবাইল হারানোর অভিযোগ তুলেন। 

এ নিয়ে বিনোদন কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের সাথে শিক্ষার্থীদের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায় হাতাহাতিতে জড়ায় উভয় পক্ষ। এতে অন্তত ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী ও বিনোদন কেন্দ্রের ১০-১৫ জন আহত হন। 

আহতরা ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

এ বিষয়ে শিক্ষক নাসির আফজাল বলেন, সকাল ১০টার দিকে ১২টি বাসে করে আমরা ৬৫০ জন এসেছিলাম। বিকেল ৫টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। কয়েকটি মোবাইল খোয়া যায়। এনিয়ে কথা কাটাকাটি। তখন বাচ্চারা বলেছে, মোবাইল ছাড়া বাসায় গেলে সমস্যা, যাতে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। তখন আমরা বললাম, তারা যদি না দেয় আমরা দেখবো। এরইমধ্যে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটে। এতে আহত ৬ জনকে এনাম মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। অনেকে সাধারণ চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। সবমিলিয়ে অন্তত ২০-২৫ জন আহত হয়েছে। আমরা মামলা করবো। 

আলাদীনস পার্কের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা নকিবুল হাসান রনি বলেন, স্কুল থেকে সকালে পিকনিকে এসেছিল। ঘটনা দুইবার ঘটেছে, দুপুরে একবার, বিকেলে একবার। দুপুরে মীমাংসা হওয়ার পরে বিকেলে যাওয়ার সময় সব কিছু ভাংচুর করে গেছে। মোবাইল হারানোর মতো কিছুই হয়নি। সেখানে ১০০টি লকার আছে। এটা নিয়ে আমাদের স্ট্রাফকে প্রথমে মারধর করছে, পরে ওনাদের শিক্ষকদের ডেকে এনে বিষয়টা মীমাংসা করেছি। পরে বের হওয়ার সময় ওরা এমন ভাংচুর করছে ও স্টাফদের  মারধর করছে। আমাদের ১৫/১৬ জন আহত হয়েছে, এর মধ্যে সবাই রক্তাক্ত জখম। আহত সবাই সরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এ বিষয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, বেড়াতে আসা শিক্ষার্থীরা বিনোদন কেন্দ্রটির লকারে তাদের মোবাইলসহ অন্যান্য জিনিসপত্র রেখে গোসলে নামেন। পরে কয়েকজন শিক্ষার্থী লকার থেকে মোবাইল হারানোর অভিযোগ তুলেন। এ নিয়ে বিনোদন কেন্দ্রর কর্তৃপক্ষের সাথে শিক্ষার্থীদের বাগবিতণ্ডা ঘটে। এক পর্যায় হাতাহাতিতে জড়ায় উভয়পক্ষ। এতে অন্তত ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী ও বিনোদন কেন্দ্রের ১০-১৫ জন আহত হন। তাদের ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

এএইচ