ঢাকা, রবিবার   ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,   ফাল্গুন ৩ ১৪৩১

বাংলাদেশ নিয়ে কী বলেছেন ট্রাম্প?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৯ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ শুক্রবার | আপডেট: ০৯:২৯ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ শুক্রবার

ওয়াশিংটনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্ন করে বসেন ভারতীয় এক সাংবাদিক। এর সংক্ষিপ্ত জবাবও দেন ট্রাম্প।

ওই সাংবাদিক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কাছে প্রশ্ন রাখেন, “আপনি বাংলাদেশ বিষয়ে কী বলতে চান? কেননা আমরা দেখেছি এবং এটা স্পষ্ট যে, বাইডেন প্রশাসনের সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপ স্টেট ক্ষমতার পরিবর্তনে জড়িত ছিল; এরপর জুনিয়র সরোসের ((মার্কিন বিনিয়োগকারী এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক আন্দোলনে অর্থায়নের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে) সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুহাম্মদ ইউনূস। সুতরাং বাংলাদেশের বিষয়ে আপনার অভিমত কী?”

এর জবাবে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কথা সরাসরি নাকচ করে দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “সেখানে আমাদের ডিপ স্টেটের কোনো ভূমিকা ছিল না। এটা এমন একটা বিষয়- যেখানে প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদী) দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন।”

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “স্পষ্ট করে বললে, ভারত সেখানে শতশত বছর ধরে কাজ করেছে, আর সেসব বিষয় তিনি পড়েছেন। বাংলাদেশের বিষয়ে বলার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর ওপর ছেড়ে দেব," বলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ইশারা দেন ট্রাম্প।

এরপর নরেন্দ্র মোদী জবাব দিতে গিয়ে ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ভারতের অবস্থান তুলে ধরলেও বাংলাদেশ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।

পরে সাংবাদিকরা ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রিকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে উত্তরে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ নিয়ে যা বলতে পারি সেটা হলো, এ নিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী এবং ভারত এই পরিস্থিতিকে যেভাবে দেখছে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী তার মতামত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জানিয়েছেন।”

বিষয়টাকে আরও ব্যাখ্যা করে তিনি যোগ করেন, “আমরা আশা করি, বাংলাদেশের পরিস্থিতি সেই দিকে এগিয়ে যাবে, যেখানে তাদের সঙ্গে গঠনমূলক ও স্থিতিশীল উপায়ে আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে পারব। তবে সেই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী সেই সংক্রান্ত মতামতই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।”

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে 'ডিপ স্টেট' বলতে ছায়া রাষ্ট্রকে বোঝানো হয়। এটাকে সাধারণত সরকারি কর্মকর্তা ও বেসরকারি প্রভাবশালী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের কথিত গোপন নেটওয়ার্কও মনে করা হয়। এই নেটওয়ার্কে এফবিআই এবং সিআইএ'র কর্মকর্তারাও থাকেন।

রাজনৈতিক সরকারের সমান্তরালে নিজেদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বাস্তবায়নে স্বাধীনভাবে এই নেটওয়ার্ক কাজ করার চেষ্টা করে থাকে।

এএইচ