৬ মাস পর সমাহিত অভ্যুত্থানে শহীদ হাসান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:১২ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ শনিবার

গণঅভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার ৬ মাস পর পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে হাসানকে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের শাহামাদার গ্রামে তাকে শায়িত করা হয়।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর ওইদিন বিকেলে সারা দেশে বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় ওই বিজয় মিছিলে যোগ দিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মারা যান ভোলার ছেলে মো. হাসান।
দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস পর ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে হাসানের লাশ শনাক্ত করা হয়। এরপর ঢামেক কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে হাসানের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাচিয়া শাহামাদার মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে তার ২য় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে হাসানের বাবা-ভাইসহ স্থানীয়রা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভোলার সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, সাহামাদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে হাসানের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের ভোলার সমন্বয়ক, শিক্ষার্থীসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।
পরে শহীদ হাসানের বাবাকে নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার বিচার ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
এর আগে এ শহীদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়ে শুক্রবার জুমার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, জানুয়ারি মাসে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে হাসানের লাশ শনাক্ত করেন। এরপর সিআইডি তার ডিএনএ পরীক্ষা শেষে একমাস পরে বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করে জানায়, এটাই হাসানের লাশ।
হাসানের বাবা মনির হোসেন ভোলার সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাহামাদার গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা।
তিনি জানান, হাসানসহ দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে তার। আট বছর আগে ঢাকায় পাড়ি জমান হাসান। ভগ্নিপতি ইসমাইলের বাসায় থাকা শুরু করেন। ঢাকায় গুলিস্তান কাপ্তানবাজারে একটি ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে কাজ নিয়েছিলেন তিনি। নিজের খরচ চালিয়ে মাসে কিছু টাকা সংসারের জন্য পাঠাতেন হাসান।
এমবি//