ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৬ মার্চ ২০২৫,   ফাল্গুন ২২ ১৪৩১

দেশে প্রথমবারের মতো চালু পেট অ্যাম্বুলেন্স, নেটিজেনদের প্রশংসা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:২৮ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৩:৩৯ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মঙ্গলবার

শহুরে জীবনে একাকিত্ব কাটাতে কিংবা শখের বশে অনেকে কুকুর-বিড়ালসহ বিভিন্ন ধরনের পশু-পাখি পোষেন। প্রিয় পোষা প্রাণী একসময় পরিবারেরই সদস্য হয়ে ওঠে। কিন্তু প্রিয় প্রাণীটিকে নিয়ে সারাক্ষণই দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় পোষ্য মালিকদের। তাদের প্রিয় পোষা প্রাণীকে অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখাটা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক, এবং এর চেয়েও কঠিন কাজ তাদেরকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঠিকঠাক যানবাহন খুঁজে পাওয়া। আর এটি বেশিরভাগ সময়ই চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়। এই জরুরি প্রয়োজনটি মোকাবিলা করতে দেশে প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে পোষা প্রাণীর অ্যাম্বুলেন্স সেবা।

যানবাহনের অভাবে কোনো পোষা প্রাণী যেন কষ্ট না পায়, এই লক্ষ নিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রাণীদের জন্য এই আম্বুলেন্স সেবা চালু করেছে ‘সুস্থতা’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

জানা গেছে, এই পেট অ্যাম্বুলেন্স পোষা প্রাণীকে নিকটস্থ ভেটেরিনারিতে বা শহরের বাইরে দীর্ঘ দূরত্বে নিয়ে যেতে পারে। সেবার চার্জ সাধারণ অ্যাম্বুলেন্সের মতো, যা সব পোষ্য মালিকের জন্যই সাশ্রয়ী। এই অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রি-বুক করা যাবে, www.susthotaa.com এ। এছাড়া, 09601 222 777 নম্বরে কল করে জরুরি সেবার নেয়া যাবে। নিয়মিত অ্যাম্বুলেন্স সেবার পাশাপাশি এ উদ্যোগে ৫০টি আম্বুলেন্স নিয়োজিত রয়েছে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

'সুস্থতা'র চেয়ারম্যান অ্যাঞ্জেলো আফনান হামিদ তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, তার একটি পোষা কুকুর ছিল। কিন্তু গাড়ি না থাকায় তার কুকুরটিকে পশুচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হতো তাকে। অনেক চালক এতে রাজেই হতেন না। তখন তিনি বুঝতে পারেন মানুষের মতো পোষা প্রাণীর জন্যও একটি ডেডিকেটেড অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রয়োজন।

'সুস্থতা'র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মেজবাউল আমিন বলেন, 'দেশব্যাপী থাকা এই অ্যাম্বুলেন্স সেবাটি পোষা প্রাণীটিকে কাছাকাছি বা শহরের বাইরে দূর-দূরান্তেও পশুচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে পারবে।

এদিকে, পোষা প্রাণীর জন্য অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেম ফেসবুকে প্রশংসায় ভাসছে প্রতিষ্ঠানটি। নেটিজেনদের কেউ বলছেন, এমন উদ্যোগের খুব দরকার ছিল। কেউ বলছেন, অনেকদির পর একটি ভালো কাজ হলো।  এমন ভালো কাজ প্রত্যেক জেলায় ছড়িয়ে পড়া উচিত বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।

এমবি//