ঢাকা, শনিবার   ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,   ফাল্গুন ১০ ১৪৩১

খিলগাঁওয়ে স’মিলের আগুন ছড়িয়ে পড়ছে, নিয়ন্ত্রণে ১০ ইউনিট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৩৯ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ শুক্রবার

রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা এলাকার রাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি স-মিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আর এই আগুন  ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশেও। এরইমধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের দশটি ইউনিট। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, আগুন স’মিল থেকে পাশের একটি গ্যারেজে ছড়িয়ে পড়েছে। গ্যারেজে থাকা বিভিন্ন গাড়িতে আগুন লেগেছে এবং গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হচ্ছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে সাতটার দিকে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। এসব তথ্য জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ।

রাশেদ বিন খালিদ বলেন, আজ রাত সাড়ে সাতটার দিকে আমাদের কাছে খিলগাঁয়ে দুইতলা একটি স’মিলে আগুন লাগার খবর আসে। প্রথমে ঘটনাস্থলে আমাদের তিনটি ইউনিট কাজ করছিল। কিন্তু আগুন ছড়িয়ে পড়ায় বর্তমানে ১০টি ইউনিট কাজ করছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এছাড়া আগুনে হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।

ধারণা করা হচ্ছে, প্রথমে একটি স মিল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর পাশে থাকা একটি গ্যারেজে আগুন লাগে। এরপর ওই গ্যারেজের আশপাশে থাকা সব গ্যারেজেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে গ্যাস সিলিন্ডার, রঙের সিলিন্ডার ছিল। পাশের গ্যারেজগুলো থেকে গাড়ি এবং যন্ত্রাংশ সরিয়ে নেওয়া গেলেও, সিলিন্ডার সরানো সম্ভব হয়নি। সব সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়েছে। এ সময় আশপাশের এলাকার ঘরবাড়িগুলো সব কেঁপে কেঁপে উঠছিল।

এসব গ্যারেজে প্রাইভেটকার এবং মাইক্রো মেরামত করা হয়। এসব মেরামতের গাড়িই এখানে ছিল। তবে আজ সবগুলো গ্যারেজেই বন্ধ ছিল।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মাসুম অটো মোবাইলস গ্যারেজের মালিক মো. মাসুম বলেন, আগুন লাগার ঘটনা কীভাবে ঘটেছে জানি না। আমি খবর পেয়েছি আগুন লাগার পর। আমাদের অটোমোবাইলস গ্যারেজ মালিক সমিতির একটি পিকনিক ছিল ৩০০ ফিট এলাকায়। এই এলাকায় সকল গ্যারেজ মালিক সেই অনুষ্ঠানে ছিল। অনুষ্ঠানে থাকা অবস্থায় আমরা জানতে পারি যে আগুন লেগেছে। আমার গ্যারেজে মেরামতের ৭টি গাড়ি ছিল। সবগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

আরেকজন গ্যারেজ মালিক জানান, এই এলাকায় একসাথে যতগুলো গ্যারেজ ছিল সেসব গ্যারেজের বেশিরভাগগুলোই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সব গ্যারেজেই মানুষের মেরামত করতে দেওয়া গাড়ি ছিল। যেগুলো ঠিকঠাক করে গ্যারেজে রাখা হয়েছিল সবগুলোই গাড়ি পুড়ে গেছে। তবে কোন গ্যারেজ থেকে আগুন লেগেছে সেটি এখনো সঠিকভাবে বলা যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্য, পুলিশ বাহিনী, সাধারণ মানুষ এবং সেচ্ছাসেবীরা আগুন নেভাতে কাজ করছেন।

এমবি//