ঢাকা, রবিবার   ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,   ফাল্গুন ১০ ১৪৩১

বসন্ত উৎসব ঘিরে ঢাবিতে বর্ণাঢ্য আয়োজন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৯ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ শনিবার

বাতাসে বইছে বসন্তের সুবাস, গাছে গাছে ফুটেছে নতুন পাতা। প্রকৃতিতে লেগেছে বসন্তের হাওয়া। ঋতুরাজ বসন্তকে ভিন্ন আঙ্গিকে উদযাপন করতে বর্ণাঢ্য আয়োজন করা হয়েছে। এতে গ্রামীণ সাজে দেখা যাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকে। 

আগামী ১১ ফাল্গুন সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে ষষ্ঠবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ বসন্ত উৎসব ১৪৩১”। রুচি নিবেদিত অনুষ্ঠানটির সৌজন্যে রয়েছে চপস্টিক।

দিনব্যাপী এই আয়োজনের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকবে গ্রামীণ লোকজ মেলা, ফানুস উৎসব এবং তারকা শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোরম সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। 

গ্রামীণ মেলায় পোশাক, অলংকার ও খাবারের স্টলের পাশাপাশি থাকছে নাগরদোলা, পুতুল নাচ, বায়োস্কোপ, পুঁথিপাঠ, কীর্তনসহ ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ লৌকিক সংস্কৃতির বাহারি সব আয়োজন। 

মূলত এক টুকরো গ্রামবাংলাকে ঢাকা শহরের বুকে নিয়ে আসাই এই আয়োজনের লক্ষ্য।

দুপুর ২:৩০ মিনিটে আলোচনা ও গুণীজন সম্মাননা পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। মুখ্য আলোচক হিসেবে থাকবেন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যকলা বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. মো: আব্দুস সাত্তার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে গুণীজন সম্মাননা গ্রহণ করবেন চলচ্চিত্র পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম, অভিনয় ও নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ এবং সংগীত শিল্পী কাজী কৃষ্ণকলি ইসলাম। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন এসকিউ গ্রুপের এমডি ও সিইও মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপ্রধান হিসেবে থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের মডারেটর ড. রাশেদা রওনক খান।

আলোচনা সভা শেষে থাকবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের সদস্যদের শিল্পীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সবশেষে  বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকবে জনপ্রিয় ব্যান্ড বায়োস্কোপ এবং সংগীত শিল্পী কৃষ্ণকলি ও তাঁর দলের পরিবেশনা।

এই প্রসঙ্গে সংগঠনের সভাপতি নাফিয়া ফারজানা অমিয়া বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ বরাবরই দেশীয় সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করতে তৎপর। তারই অন্যতম উদাহরণ আমাদের এই বসন্ত উৎসব। তরুণ প্রজন্মকে এই দেশীয় সংস্কৃতির সাথে একীভূত করার এই প্রয়াস আমাদের অব্যাহত থাকবে।”

সাধারণ সম্পাদক রওনক জাহান রাকামনি বলেন, “বাংলা সংস্কৃতির গভীরতাকে তুলতে ধরতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ প্রতি বছর আয়োজন করে ‘বসন্ত উৎসব’। বাংলা সংস্কৃতির শেকড় গেঁথে যাক তরুণ প্রজন্মের ভেতরে। বাংলা সংস্কৃতিকে অন্তরে ধারণ করে আমরা বরণ করে নিচ্ছি ঋতুরাজ বসন্তকে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের মডারেটর ড. রাশেদা রওনক খান এ বিষয়ে বলেন, “প্রতিদিনের নাগরিক জীবনের ব্যস্ততায় আমরা হারিয়ে ফেলছি শৈশবের সারল্য, গ্রামীণ প্রকৃতির ছোঁয়া। বসন্ত উৎসবকে ঘিরে শহুরে জীবন থেকে একদিনের জন্য যেন আমরা ফিরে যাই ছেলেবেলার মধুর সেই দিনগুলোতে।”

অনুষ্ঠানের সময়সূচি:
গ্রামীণ মেলা উদ্বোধন: সকাল ১০.০০ মিনিট, আলোচনা সভা, গুণীজন সম্মাননা, ক্রোড়পত্রের মোড়ক উন্মোচন ও শোভাযাত্রা: দুপুর ২.৩০ মিনিট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের শিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা: বিকাল ৪.৩০ মিনিটে এবং প্রখ্যাত ব্যান্ড দলগুলোর কনসার্ট: সন্ধ্যা ৬.৪৫ মিনিটে।

এএইচ