ঢাকা, রবিবার   ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,   ফাল্গুন ১১ ১৪৩১

গাজায় ধ্বংসস্তূপে মিলল আরও ৭ ফিলিস্তিনির লাশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪২ এএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রবিবার | আপডেট: ০৮:৪৯ এএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রবিবার

ফিলিস্তিনের গাজায় চুক্তি কার্যকর হওয়া মধ্য দিয়ে দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চলা হত্যাযজ্ঞের সমাপ্তি ঘটেলে লাশের মিছিল শেষ হয়নি এ অঞ্চলে। মূলত ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে একের পর এক উদ্ধার হচ্ছে নিহতদের লাশ। সর্বশেষ গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আরও সাত জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪৮ হাজার ৩৩০ জনে পৌঁছেছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মী ও উদ্ধারকর্মীরা গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে আরও ৭ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৩২৯ জনে পৌঁছেছে বলে শনিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে গত ৪৮ ঘণ্টায় দুজন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন এবং তারাও প্রাণহানির এই সংখ্যার মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আগ্রাসনে আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ১১ হাজার ৭৫৩ জন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তিন-পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছিল।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। 


এমবি//