ঢাকা, রবিবার   ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,   ফাল্গুন ১১ ১৪৩১

পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:২১ এএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রবিবার

রোমান ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের স্বাস্থ্য গত ২৪ ঘণ্টায় অবনতি হয়েছে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’।

৮৮ বছর বয়সি পোপ ফ্রান্সিস শ্বাসনালির প্রদাহ ব্রঙ্কাইটিস চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ইতালির রোমের অগস্টিনো জেমেল্লি ইউনিভার্সিটি পলিক্লিনিক হাসপাতালে ভর্তি হন। পরবর্তীতে তার উভয় ফুসফুসে নিউমোনিয়া ধরা পড়ে।

শনিবার এক বিবৃতিতে ভ্যাটিকান জানায়, পোপ ফ্রান্সিস ‘দীর্ঘদিন ধরে হাঁপানির মতো শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। গতকালের চেয়ে তার অবস্থা আরও অবনতি হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘মহান ধর্মগুরুর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। তিনি বিপদমুক্ত নন।’

ভ্যাটিকান জানায়, পোপ তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে এখনও সচেতন এবং সারাদিন একটি চেয়ারে বসে কাটিয়েছেন। যদিও তার শারীরিক অবস্থা গতকালের চেয়েও খারাপ। অতিরিক্ত অক্সিজেনের পাশাপাশি পোপের রক্ত​সঞ্চালনেরও প্রয়োজন। পরীক্ষায় দেখা গেছে তার প্লাটিলেটেও কমে গেছে।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে বেশ কয়েক দিন ধরে ব্রঙ্কাইটিসের লক্ষণ ছিল পোপের। এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি ভ্যাটিকান এক বিবৃতিতে জানায়, পোপ ফ্রান্সিসকে ‘জটিল শারীরিক অবস্থার’ কারণে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। যত দিন প্রয়োজন, তত দিন হাসপাতালে থাকবেন তিনি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পোপের শ্বাসনালিতে একাধিক জীবাণু সংক্রমণ (পলিমাইক্রোবিয়াল ইনফেকশন) হওয়ায় তার চিকিৎসায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। ভ্যাটিকান আরও জানায়, স্থিতিশীল অবস্থায় পোপের ‘নির্ধারিত চিকিৎসা চলছে’ আর তার শরীরে জ্বর নেই।

এরপর ২০ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতি ভ্যাটিকান জানায়, পোপের স্বাস্থ্যের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এই মুহূর্তে তার জ্বর নেই।

এদিকে পোপের সম্ভাব্য পদত্যাগ সম্পর্কে কথা বলেছেন কার্ডিনাল জ্যঁ মার্ক অ্যাভেলিন ও কার্ডিনাল হুয়ান যোসে ওমেলাও। কার্ডিনাল ওমেলা গির্জার ধারাবাহিকতার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘পোপ বদলায়, আমরা বিশপরা বদলাই, প্যারিসের পুরোহিতরা বদলায়, সবাই বদলায়। কিন্তু ট্রেনটি চলতেই থাকে।’

পোপের পদত্যাগ করার সম্ভাবনা সম্পর্কে কার্ডিনাল অ্যাভেলিন বলেন, ‘পোপ যদি পুরোপুরি সুস্থ না হয়ে ওঠেন তবে ‘সবকিছুই সম্ভব।’ ২০১৩ সালে আকস্মিকভাবেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন পোপ ফ্রান্সিসের পূর্বসূরী পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট। যা ১২৯৪ সালের পর কোনো পোপের পদত্যাগের প্রথম কোনো ঘটনা।

সেই সময়ে পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট স্বাস্থ্যগত সমস্যার কথা উল্লেখ করেছিলেন। সংশিষ্টরা বলছেন, তার (পোপ ষোড়শ বেনেডিক্টের) শারীরিক অবস্থা সম্ভবত পোপ ফ্রান্সিসের মতো গুরুতর ছিল না। তবে পোপ ফ্রান্সিস সম্প্রতি স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন, যদি স্বাস্থ্যগত সমস্যা যথেষ্ট গুরুতর হয়ে ওঠে তবে তিনি পদত্যাগ করার কথা বিবেচনা করবেন।

এমবি//