ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,   ফাল্গুন ১৩ ১৪৩১

মায়ের সঙ্গে পরিকল্পনা করে শাশুড়িকে টুকরো, মা-মেয়ে আটক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৪৩ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মঙ্গলবার

কলকাতায় ঘটেছে হাড়হিম করা এক ঘটনা। টুকরো করা মানবদেহ গঙ্গায় ফেলার আগে কুমোরটুলি ঘাট থেকে দুই নারীকে হাতেনাতে আটক করেছে স্থানীয়রা। এরপর ব্যাগ খুলতেই আঁতকে ওঠেন পুলিশ ও স্থানীয়রা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে ট্যাক্সিতে করে গঙ্গার ঘাটে আসেন মাস্ক পরা দুই নারী। ভারী ব্যাগ টেনে ঘাটে আনতে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। তারা দাবি করেন, ব্যাগে পোষ্য কুকুরের মৃতদেহ রয়েছে। খবর দেয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে ট্রলি ব্যাগ খুলতেই ভিতরে মেলে পচাগলা রক্তাক্ত দেহ।

এ ঘটনায় পুলিশ ওই দুই নারীকে আটক করেছে। 

আটককৃতরা হলেন, ফাল্গুনী ঘোষ ও আরতি ঘোষ। সম্পর্কে তারা মা ও মেয়ে। ট্রলি ব্যাগে করে যার দেহ ফেলা হচ্ছিল তিনি সম্পর্কে ফাল্গুনির পিসি শাশুড়ি। নাম সুমিতা ঘোষ।

মা ও মেয়ের পরিকল্পনা ছিল সকালের দিকে সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে ওই ব্যাগ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেবেন। কিন্তু কুমোরটুলি ঘাট ভোর থেকেই জনবহুল থাকে। প্রাতঃভ্রমণকারীদের চোখে পড়ে যায় ওই মা এবং মেয়ে। তাদের হাবেভাবে সন্দেহ হয় ঘাটে থাকা অন্যান্যদের। ট্রলি খুলে ভেতরে কী আছে তা দেখানোর কথা বললে বেঁকে বসে ফাল্গুনী এবং আরতি। আর এতেই সাধারণ মানুষের সন্দেহ বাড়ে।

জানা গেছে, মধ্যমগ্রামের বীরেশপল্লিতে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে প্রায় আড়াই বছর ধরে থাকছিল ফাল্গুনী এবং আরতি। স্থানীয়দের দাবি, হামেশাই রাতে অচেনা লোকদের আনাগোনা ছিল তাদের বাড়ি।

ওই দেহের টুকরোগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ফাল্গুনী এবং আরতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ফাল্গুনী দাবি করেছে, সুমিতা তার পিসি শাশুড়ি এবং তিনি গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তাই সেই দেহ না পুড়িয়ে ভাসিয়ে দিতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু তদন্তকারীদের একের পর কড়া কড়া প্রশ্নের মুখে প্রকৃত সত্য প্রকাশ করেন। পারিবারিক বিবাদের জেরে পিসি শাশুড়িকে খুনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার দুপুরে তাদের বাসায় আসেন সুমিতা দেবী। তার সঙ্গে ফাল্গুনী-আরতির বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে রাগের মাথায় ইট দিয়ে সুমিতাকে আঘাত করেন ফাল্গুনী। তাতে তার মৃত্যু হলে দেহটি ফেলে দেয়ার জন্য পরিকল্পনা করে মা-মেয়ে।

এসএস//